নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে জার্মানির বিভিন্ন শহরে আবার বিক্ষোভ হয়েছে। এসব বিক্ষোভে বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নিয়েছেন।

বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা জার্মানির গণতান্ত্রিক দলগুলোকে ‘নব্যনাৎসি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জার্মানির জন্য বিকল্প (অলটারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড) দলটিকে সহযোগিতা না করার জন্য আহ্বান জানান।

গতকাল শনিবার ছিল ছুটির দিন। আবহাওয়া ছিল রৌদ্রময়। এর মধ্যে জার্মানির বিভিন্ন শহরের কেন্দ্রস্থলে নানা শ্রেণি-পেশা-বয়সের মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। তাঁরা ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জার্মানির ২১তম নির্বাচনে অলটারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড দলটিকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানান।

গতকাল সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয় মিউনিখে। এখানকার বিক্ষোভে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ অংশ নেন।

মিউনিখের থেরেসিয়েন মাঠের এই বিক্ষোভের মূল সুর ছিল, ‘গণতন্ত্র চাই।’

আরও পড়ুনঅভিবাসন নীতি কঠোর করতে প্রস্তাবিত আইনের বিরুদ্ধে জার্মানিজুড়ে বিক্ষোভ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

বিক্ষোভের অন্যতম আয়োজক ছিল ‘গ্র্যান্ডমা এগেইনস্ট রাইটিস্ট’ নামের একটি সংগঠন। সহ–আয়োজক ‘মিউনিখ ইজ কালারফুল’। এই সংগঠনের সভাপতি মিকি ভেনগাটজ বলেন, ক্রিশ্চিয়ান গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন দলের আচরণই নির্ধারণ করবে, অলটারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড ক্ষমতার অংশীদার হবে কি না। ক্রিশ্চিয়ান গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন অন্যান্য দলের মতো অলটারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড থেকে দূরে থাকবে কি না, তা দেখার বিষয়।

মিকি ভেনগাটজ মিউনিখের একজন সিটি কাউন্সিলর। তিনি সামাজিক গণতান্ত্রিক দলের একজন সদস্য।

হ্যানোভারে আয়োজিত বিক্ষোভে ২৫ হাজার মানুষ অংশ নেন। পুলিশের একজন মুখপাত্রের তথ্যমতে, শহরের কেন্দ্রস্থল ক্রোপকে ও ওপারন স্কয়ারে মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেন।

হ্যানোভারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে বক্তব্য দেন হ্যানোভার আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক লিপি আহমেদ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন

মাকিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে চুক্তি বাতিলকারী দেশগুলোর জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক প্রচারণা চালাচ্ছেন। আর তার সেই বার্তাটি হচ্ছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দাঙ্গাবাজ দেশ, যাকে বিশ্বাস করা যায় না।

শুল্ক স্থগিতাদেশের সময় চীন ছাড়া সবদেশকে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য ট্রাম্প যে ৯০ দিনের সময়সীমা দিয়েছেন, সেই সময়ের মধ্যে চীনা কর্মকর্তারা বিদেশী সরকারগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঠেলে দেওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, একবার এই চুক্তিগুলো কার্যকর হয়ে গেলে, তিনি চান মার্কিন মিত্ররা ‘একটি দল হিসেবে চীনের সাথে যোগাযোগ করুক’, যাতে মার্কিন পক্ষ আলোচনায় আরো বেশি সুবিধা পায়।

দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যন্ত মার্কিন মিত্ররা নিরাপত্তার জন্য ওয়াশিংটনের উপর নির্ভর করে এবং অর্থনৈতিকভাবে ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করার জন্য তাদের উৎসাহ রয়েছে। অবশ্য চীন আরো সমান তালে শুল্ক যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্পের শেষ বাণিজ্য যুদ্ধের পর থেকে বেইজিং মার্কিন রপ্তানি থেকে তার অর্থনীতিকে মুক্ত করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেশটিতে নিবেদিতপ্রাণ এবং সক্রিয় সৈন্য সংখ্যার বিচারে বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক বাহিনী রয়েছে।

শি ট্রাম্পের সাথে ফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এবং তার সরকার ‘পাল্টাপাল্টি’ শুল্ক বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র জোর দিয়ে বলছে যে, অন্য পক্ষ, অর্থাৎ চীনকে উত্তেজনা কমানোর প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে, চীন নিজেকে নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উপস্থাপন করছে এবং অন্যান্য দেশকে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছে।

সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর আমেরিকান স্টাডিজের পরিচালক উ জিনবো বলেন, “এটি কেবল চীন-মার্কিন সম্পর্কে নয়। এটি আসলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে।”

গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতিবিদদের সাথে দেখা করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া উ জানান, অন্যান্য সরকারেরও বুঝতে হবে বেইজিংয়ের প্রচেষ্টা তাদের উপকার করেছে। 

তিনি বলেন, “যদি চীন আমেরিকার বিরুদ্ধে না দাঁড়াত, তাহলে আমেরিকা কীভাবে তাদের ৯০ দিনের বিরতি দিত।  চীনের উপর শুল্ক আরোপের ফলে ট্রাম্প অন্যান্য দেশের উপর শুল্ক আরোপ বন্ধ করার জন্য আবরণ পেয়েছেন। তাদের এটা উপলব্ধি করা উচিত।”

চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই সোমবার ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ব্রিকস ব্লকের দেশগুলোকে ট্রাম্পের দাবি প্রতিহত করার জন্য বেইজিংয়ের সাথে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। 

তিনি বলেছেন, “আপনি যদি নীরব থাকেন, আপস করেন এবং পিছু হটতে চান, তাহলে এটি কেবল বুলিকে আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।”

তার এই বক্তব্যের কয়েক ঘন্টা পরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইংরেজি সাবটাইটেলসহ একটি ভিডিওতে ওয়াশিংটনকে ‘সাম্রাজ্যবাদী’ শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, গত শতাব্দীতে জাপানি রপ্তানি সীমিত করার মার্কিন পদক্ষেপ তোশিবার মতো কোম্পানিগুলোকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

ওয়াং ই বলেছেন, “একজন ধর্ষকের কাছে মাথা নত করা ঠিক তৃষ্ণা নিবারণের জন্য বিষ পান করার মতো, এটি কেবল সংকটকে আরো গভীর করে তোলে। চীন পিছু হটবে না যাতে দুর্বলদের কণ্ঠস্বর শোনা যায়।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বগুড়ায় সারজিসের উপস্থিতিতে মারামারির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ৪ নেতা হাসপাতালে
  • অমিতাভের চিরকুট কিংবা ফ্যাশন নিয়ে রাধিকার ১০ প্রশ্নের জবাব, ১০ ছবি
  • মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
  • একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
  • বড় বন্দরে ভারী কাজ করেও চলে না সংসার 
  • নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতির মেয়ে
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
  • ৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যাভ্যাস যেমন হতে হবে
  • যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন