সিলেটে একই থানার ১৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
Published: 11th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত পাথরবাহী গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সিলেট জেলা পুলিশের কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো.
ক্লোজড হওয়া ১৩ পুলিশ সদস্য হলেন- কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই খোকন চন্দ্র সরকার ও মিলন ফকির, এএসআই শিশির আহমেদ মুকুল ও শামীম হাসান, কনস্টেবল নাজমুল আহসান, মুন্না চৌধুরী, নাইমুর রহমান, তুষার পাল, আবু হানিফ, সাখাওয়াত সাদী, সাগর চন্দ্র দাস, মেহেদী হোসেন ও কিপেস চন্দ্র রায়। বর্তমানে তাদের সিলেট পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রাসেলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআইসহ ১৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারি সিলেটের স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলায় অবৈধ পাথর পরিবহনে পুলিশের চাঁদাবাজি-সংক্রান্ত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর এক দিন পরেই আজ ১৩ জন পুলিশ ক্লোজের এই অফিস আদেশ দেয় সিলেট জেলা পুলিশ।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ১৩ প ল শ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় ফেরার পথে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যাত্রী নিখোঁজ
মুন্সিগঞ্জে লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে ধলেশ্বরী নদীতে পড়ে এক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে তিনটার দিকে জেলার লঞ্চঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ যাত্রীর নাম লোকমান হোসেন (৩৭)। তিনি ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার দেওয়ানপুর এলাকার বাসিন্দা এবং রাজধানী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গতকাল রাতে সপরিবার ফারহান-৩ নামের একটি লঞ্চে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন শেষে গতকাল রাতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে লোকমান ঢাকার কর্মস্থলে ফিরছিলেন। রাত সোয়া তিনটার দিকে লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে থামে। ওই সময় লোকমান লঞ্চঘাটের পন্টুনে নেমে ঘোরাঘুরি করেন। পরে পন্টুন থেকে লঞ্চে ওঠার সময় অসাবধানতাবশত তিনি নদীতে পড়ে যান। তাঁকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে নৌপুলিশকে খবর দেওয়া হয়। আজ সকাল ৯টা থেকে সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম চালান জেলার ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর যৌথ ডুবুরি দলের সদস্যরা। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাঁর কোনো খোঁজ মেলেনি।
এ বিষয়ে মুক্তারপুর নৌপুলিশের পরিদর্শক আতাউর রহমান আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকেই আমরা নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে কাজ শুরু করি। তবে নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে তাঁর সন্ধানে পাওয়া যায়নি। তবে ওই ব্যক্তির সন্ধান চলছে।’