শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নামে দায়ের হওয়া তিন থেকে চারটি মামলার বিচারের রায় আগামী অক্টোবরের মধ্যে হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

এসব মামলায় শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ নেতা ছাড়াও সাবেক কিছু পুলিশ কর্মকর্তা ও আমলার নামও রয়েছে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলাবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা।

আরো পড়ুন:

৩২ নম্বরের বেজমেন্টে পানি ছাড়া ‘কিছু পাওয়া যায়নি’

ভাঙা হলো শেখ মুজিবের বাড়ি, পোড়ানো হলো সুধা সদন

তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত তিনশোর বেশি অভিযোগ দায়ের করা করা হয়েছে। প্রসিকিউশন টিম যাচাই-বাছাই করে ১৬টি মামলা দায়ের করেছে আনুষ্ঠানিকভাবে। এই ১৬টি মামলার মধ্যে চারটি মামলার তদন্ত কাজ এই মাসের মধ্যেই শেষ হবে বলে আমরা আশা করি। এরপর চার্জশিট ঘটনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারকাজ শুরু হবে”।

“আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরুর পর আইন অনুযায়ী তিন সপ্তাহ সময় এটা ডিফেন্স টিমকে দিতে হয়। ঈদের পর এপ্রিল মাস থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হবে”।

অধ্যাপক নজরুল বলেন, “মামলার রায় পরবর্তী চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে প্রদান করা যাবে বলে আমরা আশা করি। অর্থাৎ এই হিসাবে অক্টোবরের মধ্যে আমরা তিন চারটা মামলার রায় পেতে যাচ্ছি বলে আমরা আশা করি”।

এসব মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকেই পলাতক রয়েছে।

শেখ হাসিনাকে কী ভারত ফেরত দিবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের এই আইনে যারা পলাতক আছেন, পলাতকের বিচারের বিধান রয়েছে। আমরা তাকে (শেখ হাসিনাকে) আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। ভারতের মনোভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে তারা নানান অজুহাতে তারা এটাকে নাকচ করার চেষ্টা করবে”।

অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, পুরো বিচার শেষ হতে ট্রাইব্যুনালের এক থেকে দেড় বছর সময় লাগছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ নজর ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে নতুন করে শুরু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

আজ সোমবার সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।

সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।

সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’

তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ