প্রথম কিছুদিন সঙ্গে স্ত্রী নয়—বিদেশ সফরে কোহলিদের জন্য কপিল দেবের পরামর্শ
Published: 13th, February 2025 GMT
‘দেখেন, আপনারা যা ভালো মনে করেন’—এ ছাড়া আর কীই–বা বলার আছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। যে বোর্ডের অধীন তাঁরা খেলেন, সেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নিয়মকানুন না মেনে তো আর উপায় নেই। সেই নিয়ম মানতে বাধ্য হয়েই তো এক যুগ পর রঞ্জি ট্রফি খেলতে নেমে যান বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা।
কিন্তু বিসিসিআইয়ের দেওয়া একটি শর্ত নিয়ে কিছুটা উসখুস আছে ভারতের ক্রিকেটারদের। বিদেশ সফরের সময় তাঁদের স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে রাখার ব্যাপারে যে ‘কড়াকড়ি’ আরোপ করে দিয়েছে বিসিসিআই। ‘ডুজ অ্যান্ড ডোন্ট’, মানে করা যাবে ও করা যাবে না—ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য সম্প্রতি এমন ১০টি নিয়ম করে দিয়েছে বিসিসিআই।
এ নিয়ে অনেক কথাও হচ্ছে। এবার এতে যোগ দিয়েছেন ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেবও। ‘ক্রিকেট আড্ডা’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলকে তিনি বলেছেন, ‘স্ত্রীদের সফরে নিয়ে যাওয়া দোষের কিছু নয়। কিন্তু আমার মনে হয়, যদি সফরটা এক মাসের হয়, তাহলে প্রথম ২০ দিন স্ত্রীদের সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়, যাতে খেলোয়াড়েরা একসঙ্গে থেকে একটা দল হয়ে উঠতে পারে। আবার যদি সফর তিন মাসের হয়, তাহলে অন্তত প্রথম এক মাস খেলোয়াড়দের পরিবার রেখে শুধু দলের সঙ্গেই কাটানো উচিত।’
সাদা বলে ভারত অবশ্য ছন্দেই আছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার কারাগারে
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৬ জুন) যশোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি সিরাজুল ইসলাম।
এই মামলার ধার্য তারিখে হাজির হয়ে তিনি জামিনের আবেদন জানান। বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরো পড়ুন:
যশোর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
দুদকের মামলায় স্ত্রী-কন্যাসহ ফেঁসে যাচ্ছেন এসকে চৌধুরী
তবে এ মামলার অপর দুই আসামি জামিনে রয়েছেন । তারা হলেন- যবিপ্রবির উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, অবৈধভাবে নিয়োগ এবং সরকারি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক আল-আমিন। মামলার তদন্ত শেষে ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আসামি আব্দুর রউফ। নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার। বাছাই বোর্ডের আরেক সদস্য ছিলেন ইবির উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন।
একই বছরের ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এসময় আরো তিন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু কাউকে পাস করানো হয়নি।
বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে আব্দুর রউফের কোনো পূর্ব-অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে তাকে প্রথমে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।
রিজেন্ট বোর্ড সভাপতি হিসেবে সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।
আব্দুর রউফ সেকশন অফিসার পদে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ার পর সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে এবং ২০২১ সালে উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগ পান।
অবৈধ নিয়োগের কারণে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তিনি বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা/রিটন/মেহেদী