‘দেখেন, আপনারা যা ভালো মনে করেন’—এ ছাড়া আর কীই–বা বলার আছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। যে বোর্ডের অধীন তাঁরা খেলেন, সেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নিয়মকানুন না মেনে তো আর উপায় নেই। সেই নিয়ম মানতে বাধ্য হয়েই তো এক যুগ পর রঞ্জি ট্রফি খেলতে নেমে যান বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা।

কিন্তু বিসিসিআইয়ের দেওয়া একটি শর্ত নিয়ে কিছুটা উসখুস আছে ভারতের ক্রিকেটারদের। বিদেশ সফরের সময় তাঁদের স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে রাখার ব্যাপারে যে ‘কড়াকড়ি’ আরোপ করে দিয়েছে বিসিসিআই। ‘ডুজ অ্যান্ড ডোন্ট’, মানে করা যাবে ও করা যাবে না—ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য সম্প্রতি এমন ১০টি নিয়ম করে দিয়েছে বিসিসিআই।

এ নিয়ে অনেক কথাও হচ্ছে। এবার এতে যোগ দিয়েছেন ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেবও। ‘ক্রিকেট আড্ডা’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলকে তিনি বলেছেন, ‘স্ত্রীদের সফরে নিয়ে যাওয়া দোষের কিছু নয়। কিন্তু আমার মনে হয়, যদি সফরটা এক মাসের হয়, তাহলে প্রথম ২০ দিন স্ত্রীদের সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়, যাতে খেলোয়াড়েরা একসঙ্গে থেকে একটা দল হয়ে উঠতে পারে। আবার যদি সফর তিন মাসের হয়, তাহলে অন্তত প্রথম এক মাস খেলোয়াড়দের পরিবার রেখে শুধু দলের সঙ্গেই কাটানো উচিত।’

সাদা বলে ভারত অবশ্য ছন্দেই আছে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার আ’লীগ নেতা মাওলাদ

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলাদ হোসেন সানাকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তিনি যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখান থেকে তাকে বানারীপাড়া থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মোস্তফা বলেন, বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানার বিরুদ্ধে মামলা থাকার বিষয়টি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে জানিয়ে আগেই তথ্য দেওয়া ছিল। আজ বিকালে ঢাকা থেকে নিয়ে আসার পরে উপজেলার চাখারের এক বিএনপি নেতার দায়েরকৃত চাঁদাবাজি মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে বরিশালে আদালতে সোপর্দ করা হবে। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা থানায় হত্যা মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানার গ্রেপ্তারের খবরে তার ফাঁসির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বানারীপাড়ায় বিএনপি ও যুবদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

প্রসঙ্গত, অ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানা বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও বরিশাল জেলা পরিষদের সদস্য এবং প্যানেল চেয়ারম্যান ছিলেন। এর আগে তিনি আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিরও সদস্য ছিলেন। গত বছরের ৫ জুন অনুষ্ঠিত বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি পরাজিত হন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ