সেই নির্মাতাকে বিয়ে করছেন মেহজাবীন চৌধুরী!
Published: 17th, February 2025 GMT
জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর প্রেম-বিয়ে নিয়ে বিভিন্ন সময় গুঞ্জন চাউর হয়েছে। এবার চুপিসারে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। পাত্র আর কেউ নন, সেই বিজ্ঞাপন নির্মাতা আদনান আল রাজীব।
আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মধুমতি মডেল টাউনে হবে তাদের গায়েহলুদ। পরের দিন একই ভেন্যুতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন। কাছের মানুষদের নিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হবে বলে অভিনেত্রীর ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে এ নিয়ে মেহজাবীনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
দীর্ঘদিন ধরে মেহজাবীন-রাজীবের প্রেমের গুঞ্জন উড়ছে। অসংখ্যবার প্রেম ও বিয়ে নিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন তারা। কিন্তু বরাবরই বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন মেহজাবীন ও রাজীব।
আরো পড়ুন:
মেহজাবীন-পরীমণির পর বাধার মুখে অপু
কতটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল মেহজাবীনের সিনেমা?
এক সাক্ষাৎকারে রাজীব বলেছিলেন, “মেহজাবীন আমার জীবনের সেরা ও মূল্যবান ব্যক্তি।” তবে প্রেম ও বিয়ে প্রসঙ্গে এড়িয়ে যান তিনি।
২০০৯ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন মেহজাবীন। এরপর শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন। ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য হিট নাটক। ওয়েব ফিল্মেও নিজের জাত চেনান। অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হজ ব ন চ ধ র ট ভ ন টক চলচ চ ত র ম হজ ব ন
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?