প্রথমবারের মতো সোনার ভরি দেড় লাখ টাকা ছাড়াল
Published: 17th, February 2025 GMT
দেশে সোনার ভরি প্রথমবারের মতো দেড় লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। আজ সোমবার নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়ার পর দেশের বাজারে প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৫১ হাজার ২৮২ টাকা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে।
এ দফায় সোনার দাম ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফলে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াবে ১ লাখ ৫১ হাজার ২৮২ টাকা। এটি দেশের ইতিহাসে সোনার এযাবৎকালের সর্বোচ্চ দাম।
চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ গত ১০ ফেব্রুয়ারি সোনার দাম ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৯৪ টাকা বাড়ানো হয়। তাতে প্রতি ভরি সোনার সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮১২ টাকা।
নতুন দাম অনুযায়ী, আগামীকাল থেকে দেশের বাজারে হলমার্ক করা প্রতি ভরি (১১.
আজ সোমবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট মানের সোনা ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮১২ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৪৩ হাজার ১ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭৭ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনা ১ লাখ ৯১৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সেই হিসাবে আগামীকাল থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা, ২১ ক্যারেটে ১ হাজার ৩৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ১ হাজার ১৯০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনায় ১ হাজার ১৫ টাকা দাম বাড়বে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২২ ক য র ট
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল