পরাজয় এড়াতে কয়েকটি সংগঠন ছাত্র সংসদ নির্বাচন চায় না
Published: 17th, February 2025 GMT
পরাজয় এড়াতে কয়েকটি সংগঠন ছাত্র সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুলে ওঠেপড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সংগঠনটি অভিযোগ করে, যখনই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংসদ নির্বাচনের জন্য মতবিনিময় সভার আয়োজন করে, তখনই তারা ফ্যাসিবাদী কায়দায় ছাত্রদের বিভিন্ন অংশকে ডিহিউম্যানাইজ করে এবং বিভিন্নভাবে ট্যাগিং করে সভাগুলোকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা করে থাকে।
সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেছেন শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যারা বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা এবং গুম, খুন, জুলুম-নির্যাতনের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কাজ করেছে, তারাই এখন ডাকসু ও অন্যান্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুল করার এবং ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
শিবির নেতারা বলেছেন, স্বৈরাচারের প্রধান হাতিয়ার ছিল বিভিন্নভাবে দেশের মানুষ, রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলোকে বিভক্ত করে রাখা। ছাত্র-জনতা সব বিভেদের দেয়াল ভেঙে ফেলতে পেরেছিল। কিন্তু স্বৈরাচার পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া হিসেবে আবার বিভেদের রাজনীতি চর্চা শুরু করেছে কিছু সংগঠন। তারা হুবহু ফ্যাসিস্টের ভাষায় বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে চলেছে।
এতে আরও বলা হয়, ইসলামী ভাবধারায় উজ্জীবিত ছাত্র-জনতাকে আগের মতো ডিহিউম্যানাইজ করে ফ্যাসিস্ট শক্তির পক্ষে কাজ করছে। চল্লিশ বছর আগের তথাকথিত ‘পরিবেশ পরিষদ’, যার কোনো আইনত বা নৈতিক ভিত্তি নেই, তার একটি ফ্যাসিস্ট সিদ্ধান্তকে উদ্ধৃত করে ছাত্রশিবিরকে শিক্ষাঙ্গন থেকে দূরে রাখা ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের একটি পদক্ষেপ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে হত্যা, ফাঁদ পেতে ধরা হলো প্রেমিককে
পাবনার চাটমোহর উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামে ক্যানসার আক্রান্ত স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
দশদিন পর ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত স্ত্রী শারমিন খাতুন ও তার প্রেমিককে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর চাটমোহরের দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত স্বামী শের আলী (৩৫) দক্ষিণপাড়া গ্রামের ভোলা প্রামানিকের ছেলে। শারমিন খাতুন (২৬) কাটেঙ্গা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে। এবং তার প্রেমিক অনিক (২২) একইগ্রামের মহাজন সরকারের ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর শের আলীর মৃত্যু হয়। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর বিষয়টি স্বাভাবিক হিসেবে শুরুতে মেনে নিলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুকে ঘিরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।
জানা যায়, শের আলীর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ইউটিউবারদের মাধ্যমে চিকিৎসা সহায়তার অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, সেই অর্থের একটি বড় অংশ শারমিন অনিককে দিয়েছেন।
মৃত শের আলীর ফুপাতো ভাই এনামুল হোমেনের দাবি, শারমিন ও অনিকের মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারে হওয়া কথোপকথন ঘেঁটে টাকা লেনদেনের একাধিক তথ্য পাওয়া গেছে। সেখান থেকেই প্রথম সন্দেহের সূত্রপাত।
এরপর ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পরিবারের সদস্যরা কৌশল অবলম্বন করেন। শারমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে অনিককে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসতে বলে মেসেজ পাঠানো হয়। অনিক এই ফাঁদে পা দেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অনিকে টাকা নিতে এলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন বক্তব্য ও পরস্পরবিরোধী তথ্য দিলে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। পরে অনিক ও শারমিন স্বীকার করেন, প্রায় চার মাস ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
শারমিন এ সময় জানান, গত ৩০ নভেম্বর একসঙ্গে দশটি ঘুমের ওষুধ শের আলীকে তিনি খাইয়েছিলেন। এতে শের আলীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে এবং কিছু সময়ের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
শের আলীর মা শিরীনা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘‘আমার অসুস্থ ছেলেকে ওর বউ ঘুমের ওষুধ খাইয়েছে। সে সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে এসে দেখি আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’’
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘মৃত ব্যক্তির পরিবারে পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি বা মামলা করেনি। যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের পাবনা আদালতে সোপর্দ করেছে।’’
ঢাকা/শাহীন//