রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের উদ্যোগে স্কুল পরিভ্রমণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্কুল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চলছে বই পড়া প্রতিযোগিতা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিযোগিতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সুভা গল্প থেকে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা শেষে সেরাদের বই ও শিক্ষা উপকরণ পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, ছোটবেলা থেকেই পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়তে হবে। শুধু এমন প্রতিযোগিতার জন্য নয়, জানতে হলে পড়তে হবে বই। এ আয়োজন শিক্ষার্থীদের বই পড়ার আগ্রহ বাড়াবে।
প্রতিযোগিতায় রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি কমল কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের উপদেষ্টা ও সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যাপক আহসান হাবীব, মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাকুল আলম, রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের সহসভাপতি ও রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাহেদ মুশতার, আনিছুর রহমান প্রমুখ।
রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে
উৎসবমুখর প্রতিযোগিতা
রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বই পড়া প্রতিযোগিতা শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে।
আলোচনা করেন রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক রেজাউল করিম, শিক্ষক ওলিউল আজম তৈমুর প্রমুখ। পুরো আয়োজনের সমন্বয় করেন সমকালের জেলা প্রতিনিধি সৌমিত্র শীল চন্দন।
রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন বই পড়া প্রতিযোগিতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। নিয়মিত এ আয়োজন করার প্রত্যাশা করেন।
সাধারণ সম্পাদক সুহৃদ সমাবেশ, রাজবাড়ী
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শিগগিরই একীভূত হবে ৫ ইসলামী ব্যাংক, কর্মকর্তারা চাকরি হারাবেন না: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, “বেসরকারি খাতের ৫টি ইসলামী ব্যাংককে শিগগিরই একীভূত করা হবে। একত্রিত হলেও এসব ব্যাংকের কর্মীরা চাকরি হারাবেন না।”
রবিবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “নির্বাচনের সঙ্গে ব্যাংক মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করব পরবর্তী সরকার এসে এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ৫টি ইসলামী ব্যাংক মার্জার করা হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।তবে প্রয়োজনে শাখাগুলো স্থানান্তর করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহরে বেশি সেসব ব্যাংককে গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারের প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া কোনো সম্পদ উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনি নথিপত্র তৈরি করতে হবে।”
তিনি বলেন, “আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থাও রয়েছে। এই পদ্ধতিতেও একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যেখানে উভয়পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনা করে সমাধান খুঁজবেন। কোন পথে এগোনো হবে, আদালত নাকি এডিআর, সেটি নির্ধারণ করবে সরকার।”
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ