বইমেলায় অপূর্ব খন্দকারের বই ‘নিজেই হয়ে যান ইন্টেরিয়র ডিজাইনার’
Published: 18th, February 2025 GMT
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে অপূর্ব খন্দকারের বই ‘নিজেই হয়ে যান ইন্টেরিয়র ডিজাইনার’। বইটি প্রকাশ করেছে আল হামরা প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন লেখক নিজেই।
অপূর্ব খন্দকার বলেন, ‘‘ইট পাথরের এই ধূসর শহরে নিজের একমাত্র শান্তির জায়গা নিজের বাসগৃহ। নিজের এই শান্তির জায়গাটুকু আরামদায়ক, রুচিশীল ও আনন্দময় করতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। সৃষ্টির সেরা প্রতিটি মানুষের মধ্যেই আছে সৃষ্টিশীলতা। সেই সৃষ্টিশীলতা ও রুচিবোধ কাজে লাগিয়ে আপনার নিজের পছন্দের স্পেসটুকু সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার নির্দেশনা রেখেছি আমার অভিজ্ঞতার আলোকে। এখানে আমি চেষ্টা করেছি ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও ডিজাইনারদের নিয়ে আমাদের মধ্যবিত্ত সমাজের যে ধ্যানধারণা আছে তারও কিছুটা পরিবর্তন ঘটাতে।’’
লেখক আরও বলেন, ‘‘আপনার অন্দর সজ্জা ও ইন্টেরিয়র প্ল্যানিংএ বইটি কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’’
আরো পড়ুন:
বিশ্ব সাহিত্যের ম্যাপিংয়ে বাংলা সাহিত্যের অবস্থান দৃশ্যত তৈরি হয়নি: মোজাফ্ফর হোসেন
কবি গালিব রিমান্ডে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি চান বিশিষ্টজনেরা
বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ৮০০ টাকা।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?