যুব বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর আলীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাংলাদেশ ‘এ’ দল গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে। এর আগে তাদের ক‌্যাম্প হয়েছে চট্টগ্রামে। সঙ্গে বিসিবির হাই পারফরম‌্যান্স ইউনিটের ক‌্যাম্পও চলেছে। কোথাও ছিলেন না আকবর।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ‌্যমে নিজের ব‌্যক্তিগত ছবি পোস্ট করে আকবর ধারনা দিয়েছিলেন, স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাজ‌্যে অবস্থান করছেন। তাই ক্রিকেট থেকে দূরে। তবে ক্রিকেট থেকে তিনি দূরে ছিলেন না।

ফাঁকা সময়ে নিজের ক্রিকেট দক্ষতা বাড়ানো এবং খেলার গভীরতা সম্পর্কে ধারণার জন্য ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীনে লেভেল-২ কোচিং সার্টিফিকেশন সম্পন্ন করেছেন আকবর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ‌্যমে আকবর এই খবর নিশ্চিত করেছেন।

লেভেল-২ সার্টিফিকেটের ছবি পোস্ট করে আকবর লিখেছেন, ‘‘আমি সবসময়ই খুব ছোটবেলা থেকেই এটা করতে চেয়েছিলাম। কারণ আমি বিশ্বাস করি এটি আমাকে একজন খেলোয়াড় হিসেবে এবং একজন মানুষ হিসেবেও বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে। এই কোর্সটি সম্পন্ন করার জন্য বিসিবি এবং ইসিবির সহযোগিতার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’’

আগামী মাসে শুরু হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টি আসর। এর আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট হবে। ২২টি প্রথম শ্রেণি, ৯২টি লিস্ট ‘এ’ ও ৬৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা আকবরকে দেশে ফিরতে হবে শিগগিরিই।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করার নির্দেশ দিলো আদালত

এমন এক সময়ে যখন বেশিরভাগ মানুষ লেখার জন্য কিবোর্ড ব্যবহার করে, তখন হাতের লেখা কি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ? ভারতীয় আদালতের মতে, অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, যদি সেই লেখক হন একজন চিকিৎসক।

ডাক্তারদের বাজে হাতের লেখা নিয়ে ভারতসহ সারাবিশ্বেই রসিকতা করা হয়। কারণ অনেক ক্ষেত্রে এই লেখা কেবল ফার্মাসিস্টরাই বুঝতে পারেন, রোগী কিংবা অন্য কেউ নয়। কিন্তু স্পষ্ট হাতের লেখার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সম্প্রতি একটি আদেশ জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘মেডিকেল প্রেসক্রিপশন পাঠ একটি মৌলিক অধিকার।’ কারণ এটি জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য তৈরি করতে পারে।

আদালতের এই আদেশ এমন একটি মামলায় এসেছে, যেখানে লিখিত শব্দের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। মামলায় একজন নারীকে ধর্ষণ, প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগ ছিল এবং বিচারপতি জসগুরপ্রীত সিং পুরি জামিনের জন্য পুরুষের আবেদনের শুনানি করছিলেন।

ওই নারী অভিযোগ করেছিলেন, লোকটি তাকে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, তার ভুয়া সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং তাকে যৌন শোষণ করেছে।

অভিযুক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তাদের সম্মতিতে সম্পর্ক ছিল এবং অর্থ নিয়ে বিরোধের কারণে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

বিচারপতি পুরি জানান, যখন ওই নারীকে পরীক্ষা করা এক সরকারি চিকিৎসকের মেডিকেল রিপোর্টটি দেখেন, তখন এর কিছুই তিনি বুঝতে পারেননি।

বিচারপতি তার আদেশে লিখেছেন, “এটি এই আদালতের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। কারণ একটি শব্দ বা একটি অক্ষরও স্পষ্টভাবে পড়া যায়নি।”

বিবিসি রায়ের একটি কপি দেখেছে যার মধ্যে প্রতিবেদন এবং দুই পৃষ্ঠার একটি প্রেসক্রিপশন রয়েছে। পুরো প্রেসিক্রিপশন ও রিপোর্ট অপাঠ্য।

বিচারপতি পুরি লিখেছেন, “যেহেতু প্রযুক্তি ও কম্পিউটার সহজলভ্য, তবুও এটা অবাক করার মতো যে সরকারি ডাক্তাররা এখনো হাতে প্রেসক্রিপশন লিখছেন যা সম্ভবত কিছু রসায়নবিদ ছাড়া অন্য কেউ পড়তে পারে না।”

আদালত সরকারকে মেডিকেল স্কুলের পাঠ্যক্রমের মধ্যে হাতের লেখার পাঠ অন্তর্ভুক্ত করতে এবং ডিজিটালাইজড প্রেসক্রিপশন চালু করার জন্য দুই বছরের সময়সীমা নির্ধারণ করতে বলেছে।

বিচারপতি পুরি জানিয়েছেন, যতদিন না এটি বাস্তবায়ন না হয়, ততদিন পর্যন্ত সব ডাক্তারকে বড় অক্ষরে স্পষ্টভাবে প্রেসক্রিপশন লিখতে হবে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪০ ঘণ্টা পর এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরেকজন
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার 
  • গরুর গোবর কুড়ানো থেকে সাত তারকা হোটেলে, জয়দীপের গল্প জানেন কি
  • টর্চলাইট
  • স্বাস্থ্য খাতে আলাদা বেতনকাঠামো হোক
  • গাজীপুরে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
  • খাগড়াছড়ির ঘটনায় জাতিসংঘকে যুক্ত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি
  • ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করার নির্দেশ দিলো আদালত
  • সংস্থার কার্যালয় পরিত্যক্ত, ঝোপঝাড়ে ঘেরা টিনশেডে ভিমরুলের চাক
  • বাড়ির মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ায় আকবরকে হত্যা