নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব পরিদর্শনে জাতীয় প্রেস ক্লাব সম্পাদক
Published: 18th, September 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব পরিদর্শন করেছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: আইয়ুব ভূঁইয়া। এসময় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো.
বর্তমান কমিটি এ বিষয়ে কাজ করছে। দেশের সকল জেলা পর্যায়ের প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা আগামীতে জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের দায়িত্ব পাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন জেলার প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তাঁদের খোঁজ খবর নিয়েছি। আমরা সাংবাদিকরা কোনো দল বা মতের নই বরং সাংবাদিকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় আমরা সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ আছি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য, সাংবাদিক ও কলামিস্ট মীর আব্দুল আলিম।
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আবু সাউদ মাসুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টির সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিন, যুগ্ম সম্পাদক আহসান সাদিক শাওন, কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান জুয়েল, কার্যকরী পরিষদ সদস্য একেএম মাহফুজুর রহমান, রফিকুল ইসলাম জীবন, আবদুস সালাম ও প্রণব কৃষ্ণ রায়।
সভায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবেরসদস্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন তমিজ উদ্দিন আহমেদ, হাফিজুর রহমান মিন্টু, মাকসুদুর রহমান কামাল, নাফিজ আশরাফ, রফিকুল ইসলাম রফিক, মজিবুল হক পলাশ, হাসান আরিফ, আমির হুসাইন স্মিথ ও হাসান উল রাকিব প্রমুখ।
সভা শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আইয়ুব ভূঁইয়াকে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ প র স ক ল ব র র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
“শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাড়া ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়কে আজ বুধবার ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে যা ঘটেছে তা উদ্বেগজনক। স্বেচ্ছায় সড়কে শৃংখলার দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো-ইজিবাইক চালকদের সংঘবদ্ধ হিংস্র হামলা প্রমান করে এটা পূর্ব পরিকল্পিত।
কিছু কিছু অটো চালক তাদের গাড়ির সিটের নিচে করে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে এসেছে। হামলার পরও প্রকাশ্যে একাধিক শিক্ষার্থীকে গণধোলাই দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে অটো চালকরা। প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী ও পথচারীদের তথ্যমতে, অনেক অটো চালককে মনে হয়েছে কিশোরগ্যাং সন্ত্রাসী, নেশাখোরের মতো। তারা অন্যদের চেয়ে বেশি মারমুখী ছিল।
অটো চালকদের কেউ কেউ থামানোর চেষ্টা করলেও আরেকটি পক্ষের হিংস্রতা দেখে মনে হচ্ছিল তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন থাকতে পারে এই ঘটনায়।
হামলার পর উল্টো অটো চালকরা নিজেদের উপর হামলার অভিযোগ তুলে দীর্ঘ দুই ঘন্টা নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোড ব্লক করে রাখে। এতে করে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হলো, সড়ক বন্ধ করা হলো, রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ ডানপন্থী-বামপন্থী রাজনৈতিকরা। নিশ্চুপ অতি বিপ্লবীরাও।
মজার বিষয় হলো-স্বেচ্ছাশ্রমে রৌদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে সড়কে শৃংখলা ফেরাতে শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব পালন হয়তো কারো কারো কাছে পছন্দ হচ্ছিলো না। কারণ, চাষাড়ায় অটো ঢুকতে দেয়াটাই ছিল অটো চালকদের দাবি। সেখান পর্যন্ত গেলে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া ও আয় বেশী হয়। এটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাঁদাবাজরাও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
এই চাঁদাবাজ ও অটো বাণিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছে কতিপয় অসাধু ট্রাফিক পুলিশ, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, কথিত সাংবাদিক ও মাস্তানদের সমন্বয়ে একটি চক্র। এই চক্রের কারণে কখনোই অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটো রিকসা, ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করা যায়নি। হয়তো যাবেও না।
শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
লেখক -
বিল্লাল হোসেন রবিন
সহসভাপতি
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব