রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিখর গ্রামের একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধারের পরদিন দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বাদ আসর ও বাদ মাগরিব দুই জায়গায় আলাদাভাবে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বামনশিখর গ্রামে দুজনের এবং রাজশাহী নগরের টিকাপাড়া গোরস্তানে অপর দুজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ সকালে বামনশিখর গ্রামে দাফনের জন্য প্রথমে চারটি কবর খোঁড়ার কথা ছিল। পরে তিনটি কবর খোঁড়া হয়। শেষ পর্যন্ত বাদ আসর সেখানে দুজনের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। অপর দিকে নগরের টিকাপাড়া গোরস্তানে মাগরিবের পর জানাজা শেষে অন্য দুজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে নিজ ঘরে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের লাশ উদ্ধার করে। লাশের পাশে থাকা দুই পৃষ্ঠার একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। চিরকুটের এক জায়গায় লেখা আছে, ‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে।’ পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ধারণা, অভাবের কারণে তিনি স্ত্রী, দুই সন্তানকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের বামনশিখর গ্রামের মিনারুল ইসলাম (৩৫), স্ত্রী মনিরা বেগম (২৮), ছেলে মাহিন (১৩) ও মেয়ে মিথিলা (২)। এর মধ্যে মিনারুল ও ছেলে মাহিনকে বামনশিখর গ্রামে এবং মিনারুলের স্ত্রী মনিরাকে তাঁর বাবার বাড়ি টিকাপাড়ার গোরস্তানে দাফন করা হয়। একই করবস্থানে মেয়ে মিথিলাকেও দাফন করা হয়েছে।
পবার পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.
এদিকে একই পরিবারের চারজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল রাতে নগরের মতিহার থানায় অপমৃত্যু ও হত্যার অভিযোগে মামলা দুটি করা হয়। অপমৃত্যুর মামলাটি করেন মৃত মিনারুল ইসলামের বাবা রুস্তম আলী। আর হত্যা মামলা করেন মিনারুলের শাশুড়ি শিউলি বেগম।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক মামলার বিষয়ে বলেন, ওই ঘটনায় মিনারুলের শাশুড়ি প্রথমে হত্যা মামলা করতে চাননি। পরে সন্দেহ থেকে মামলাটি করেছেন। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ই পর ব র র দ জন র
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।