Samakal:
2025-08-01@20:15:17 GMT

রাজনীতিতে যুক্তি ও উক্তি

Published: 20th, February 2025 GMT

রাজনীতিতে যুক্তি ও উক্তি

প্রতিটি সমাজেই নানারকম অন্যায়, অনাচার, বিশৃঙ্খলা আছে ও থাকবে। সময়ের অন্য বৈশিষ্ট্যও আছে। ক্রান্তিকালীন পরিবর্তিত বাস্তবতায় একটি গোষ্ঠী প্রস্তুত হতে পারে এই লক্ষ্যে যে, এখন পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে হবে। এমন প্রতিশ্রুতি রক্ষার ভেতর দিয়ে কোনো ক্রান্তিকাল কিংবা যুগসংক্রান্তিকে মোকাবিলা করা হয় এবং খারাপ অবস্থা থেকে ভালো অবস্থায় যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। পৃথিবীতে অনেক জাতি পরাধীন ছিল। এসব ক্ষেত্রসহ আরও নানান ক্ষেত্রে প্রতিবাদের প্রশ্ন আসে, সমাজের সব স্তরের মানুষের মনেই। তখন তাদের কী ধরনের ভাষা দরকার? প্রতিবাদের ভাষা সবসময় যুক্তি ও ন্যায়সংগত হতে হবে। বাংলাদেশে এখন যে বাস্তবতা বিরাজ
 করছে তার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হওয়া অনুচিত। আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছানো যাবে– এরকম প্রত্যয় নিয়ে তাদের অগ্রসর হওয়া উচিত। 
সংগ্রামে অনেক প্রাণ যায়, ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রতিবাদ করতে গিয়ে যতটা কম ক্ষয়ক্ষতি হয়, ততটাই ভালো। বাংলাদেশে এখন যে ধরনের বাস্তবতা তাতে উগ্র প্রতিবাদ করে সরকার উৎখাত করা গেলেও, জনকল্যাণের জন্য কেবল সরকার উৎখাত যথেষ্ট নয়। আমরা কী চাই, বর্তমানে বিভিন্ন স্তরের মানুষ কে কেমন আছেন– সব বিবেচনা করে প্রতিবাদের ভাষা স্থির করতে হবে। যে কোনো মূল্যে আমরাই করব, আমরাই পারি কেবল আর কেউ পারে না– এ ধরনের ভাষা ব্যবহার অনুচিত। আমাদের নিকট অতীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যে ভাষায় কথা বলতেন, তা শুনে একজন নাগরিক হিসেবে আমি অসন্তুষ্ট বোধ করতাম। নেতানেত্রীদের ভাষায় পরিমিতি, অন্য দলীয় নেতানেত্রীদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত। মনে রাখা উচিত–দেশটা ক্ষমতাসীনদের নয়, ক্ষমতার বাইরে থাকা সাধারণ মানুষের। সুতরাং নেতাদের লক্ষ্য থাকবে সাধারণ মানুষের দিকে দৃষ্টি রাখা এবং পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা। আমাদের দেশে রাজনৈতিক নেতানেত্রী ও বুদ্ধিজীবীরা এসব বিষয়ে সচেতন নন। তার ফলে বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে, বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সরকার উৎখাত হয়। 

কিছুদিন আগে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পারি, শেখ হাসিনা প্রাণভয়ে ভীত হয়ে পড়েছিলেন, তিনি মনে করেছিলেন তাঁকে মেরে ফেলা হবে। এই ভয়ের উৎস–বিরুদ্ধ পক্ষের সঙ্গে তাঁর ক্ষমাহীন, শ্রদ্ধাহীন আচরণ। আমরা ড.

মুহাম্মদ ইউনূসকে দেখেছি, যখন তাঁর বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর জন্য তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতো, সেখানে অত্যন্ত অসম্মানজনক পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটত। অতীতের একটি বিশেষ ঘটনা আমার এ প্রসঙ্গে মনে পড়ছে। প্রাক-স্বাধীনতাকালে মাহবুব মোরশেদ যখন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওসমান গণির বিরুদ্ধে অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক ড. মোহাম্মদ আবু মাহমুদ মামলা করেছিলেন। বিচারপতি মাহবুব মোরশেদ শিক্ষকের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বলেছিলেন, তিনি আমাদের শিক্ষকদের একজন, তাঁর জন্যে কাঠগড়া নয়। মাহবুব মোরশেদের নির্দেশে উপাচার্যকে একটি আলাদা চেয়ার দেওয়া হয়, সেখানে উপাচার্য ওসমান গণি বসেছিলেন এবং বিচারক তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত সংযত ভাষায় কথা বলেছেন। বিরুদ্ধ পক্ষকে সম্মান প্রদর্শনের এ দৃষ্টান্ত পাকিস্তান আমলের। অর্থাৎ তখনও শিক্ষকদের ভাবমূর্তি ও সম্মান বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরও সাধারণ মানুষ অনেক সম্মান দিয়েছে। কোথাও গেলে, কোনো অনুষ্ঠানে বা যানবাহনে তাদের বসতে দেওয়া হতো। এখন আর সেই সম্মান, মর্যাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা ছাত্র কারোরই নেই। অর্থাৎ আমরা ও আমাদের রাষ্ট্র ভালোভাবে চলছে না। এ অবস্থা আমাদের অতিক্রম করতে হবে। 
এখন যে উপদেষ্টা পরিষদ সরকার গঠন করে দেশ চালিয়ে নিচ্ছেন এটি গুরুত্বপূর্ণ। তারা যেভাবে চেষ্টা করছেন, তাতে বিদ্যমান অনেক সংকট ক্রমশ দূরীভূত হবে, আমি বিশ্বাস করি। অনেকে মন্তব্য করছেন, দুরূহ কিছু বিষয়ে তাদের উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। অনাস্থা প্রকাশ করছে না, কিন্তু আরও দ্রুত এগোনোর তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। পত্রিকায় এ নিয়ে লেখাও প্রকাশিত হচ্ছে। এসবের ভাষা নিয়ে কারও কোনো আপত্তি নেই। বক্তব্য নিয়ে কথা হচ্ছে, কিন্তু বক্তব্যের ধরন নিয়ে আপত্তির কারণ ঘটছে না। কারণ, এখানে যুক্তি ও বুদ্ধির প্রাধান্য রক্ষিত হচ্ছে। কিন্তু যারা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, তারা অনেকেই অত্যন্ত অসহিষ্ণু। প্রতিপক্ষ দলকে সহ্যই করতে পারে না। এই বোধ তাদের ভেতর প্রচারও করা হয় না যে, বাংলাদেশ সকলের এবং নানান মত ও পথের সন্নিবেশ এখানে ঘটবে, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এখানে থাকবে। আমরা দেখেছি, ভাষা উগ্র হলে, সীমা লঙ্ঘনকারী হলে ফল ভালো হয় না। সরকার উৎখাত হয়তো সম্ভব হয়, কিন্তু জনজীবনের অবস্থা ভালো হয় না এবং জাতি ও রাষ্ট্র ক্রমশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বায়ান্নর প্রতিবাদের ভাষা আদর্শ ছিল। উগ্রতার সঙ্গে তারা কথা বলতেন না। বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অনেক সংগঠন কাজ করছিল। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া তাদের ভেতর সংযত ভাব বিনিময়ের পরিবেশ ও প্রতিবাদের ভাষা বজায় ছিল। 
প্রতিবাদ-প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অসম্মানজনক ভাষাপ্রয়োগ বিরুদ্ধ পক্ষকে অসম্মানের মাঝে যে মানসিকতা ও চিন্তা ফুটে ওঠে তাতে আমার আস্থা নেই। একে আমি স্বাভাবিক মনে করি না। আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা নামে আছে, কাজে গড়ে ওঠেনি, ভেতর থেকে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, জাতিসংঘ বলছে। বাংলাদেশের জনগণ যদি বলতে পারত, তাহলে জাতিসংঘের বক্তব্যের চেয়েও সেটি যথার্থ হতো। যুক্তসংগত কথা বলেন এমন বুদ্ধিজীবী আমাদের ভেতর আর পাওয়া যায় না। রাজনীতিবিদদের ভেতর এমন কাউকে পাওয়া আরও কঠিন। এখানে রাজনীতিতে যারা ভদ্রতার সঙ্গে কথা বলেন তারা এগোতে পারেন না, উঠতে পারেন না। তবে তাদের অনেক ত্রুটিও থাকে। ত্রুটি-বিচ্যুতি মানুষ হিসেবে সবার থাকে। যারা উচ্চ জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ তাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি একপ্রকার কম থাকে। যারা সাধারণ শিক্ষিত কিংবা উচ্চশিক্ষিত তাদের ত্রুটি-বিচ্যূতি তুলনামূলক বেশি থাকে। আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক কোনো নেতৃত্ব সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি। একটাই বিষয় দাঁড়িয়ে গেছে– সরকার উৎখাত। সেইসঙ্গে আমরা ক্ষমতায় গেলে সব ভালো করে ফেলতে পারব, এমন একটা মনোভাব। শেখ মুজিবুর রহমান যখন শাসক ছিলেন, তখনও এমন হয়েছে। সব দল কী করে তাঁর সরকারকে উৎখাত করবে এ কথা চিন্তা করেছে। এ নিয়েই রাস্তাঘাটে মারপিট করেছে। শেখ সাহেব দমন করার জন্য কখনও পুলিশ এনেছেন, কখনও বিডিআর, দরকার হলে সেনাবাহিনী। তাদের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করতেন। 
বঙ্গবন্ধুর প্রতিবাদের ভাষা, ভাষণ তীব্র ছিল। তবে অযৌক্তিক না। তীব্রতার সঙ্গে যৌক্তিক কথাগুলো বলতেন। অনেকটা আবেগীও ছিলেন। আমাদের রাজনীতিকরা বিরুদ্ধ পক্ষের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে কথা বলবেন এটাই কামনা করি। তা না হলে পর্যায়ক্রমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের দেশে গণতন্ত্র এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। কেউ কেউ বলেন, পুনরুদ্ধার করতে হবে। পুনরুদ্ধার তখনই বলা যেত যদি গণতন্ত্র ইতোপূর্বে থাকত। 

লেখক

সভাপতি
বাংলা একাডেমি

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র উৎখ ত র জন ত ক আম দ র র জন য অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূসের সংস্কারের অঙ্গীকারের এক বছর পরেও কারাগারে সাংবাদিকেরা: সিপিজে

সাংবাদিক ফারজানা রুপা চলতি বছরের ৫ মার্চ ঢাকার একটি জনাকীর্ণ আদালতে আইনজীবী ছাড়াই দাঁড়িয়েছিলেন। বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করছিলেন। ইতিমধ্যে অন্য মামলায় কারাগারে থাকা এই সাংবাদিক শান্তভাবে জামিনের আবেদন জানান। ফারজানা বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমার বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি একজন সাংবাদিক। আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি মামলাই যথেষ্ট।’

বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) এক নিবন্ধে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, বেসরকারি একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপার বিরুদ্ধে ৯টি হত্যা মামলা রয়েছে। আর তাঁর স্বামী চ্যানেলটির সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদের নামে রয়েছে আটটি হত্যা মামলা।

এক বছর আগে ছাত্রদের নেতৃত্বে কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভের পর পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বিক্ষোভ চলাকালে দুজন সাংবাদিক নিহত হন। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

অধ্যাপক ইউনূস গণমাধ্যম সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের অধীন সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করতে ব্যবহৃত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু ২০২৪ সালের নভেম্বরে ডেইলি স্টার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস বলেছিলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তাড়াহুড়ো করে হত্যার অভিযোগ আনা হচ্ছে। তিনি আরও বলেছিলেন, সরকার তখন থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ বন্ধ করে দিয়েছে। মামলাগুলো পর্যালোচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কিন্তু প্রায় এক বছর পর এখনো সাংবাদিক ফারজানা রুপা, শাকিল আহমেদ, শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল হক বাবু কারাগারে আছেন। হত্যায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পৃথক মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিগত সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগের বারবার ব্যবহারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সেন্সরশিপ বলেই মনে হচ্ছে।

এ ধরনের আইনি অভিযোগ ছাড়াও সিপিজে সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক হামলা, রাজনৈতিক কর্মীদের কাছ থেকে হুমকি এবং নির্বাসনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কমপক্ষে ২৫ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে তদন্ত করছে। এই অভিযোগ সাবেক শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

সিপিজের আঞ্চলিক পরিচালক বেহ লিহ ই বলেন, ‘চারজন সাংবাদিককে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই এক বছর ধরে কারাগারে আটকে রাখা অন্তর্বর্তী সরকারের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষার ঘোষিত প্রতিশ্রুতিকে দুর্বল করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত সংস্কার মানে অতীত থেকে বেরিয়ে আসা, এর অপব্যবহারের পুনরাবৃত্তি নয়। যেহেতু আগামী মাসগুলোতে দেশে নির্বাচন হতে চলেছে, তাই সব রাজনৈতিক দলকে সাংবাদিকদের খবর প্রকাশের অধিকারকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে।’

আইনি নথি ও প্রতিবেদন নিয়ে সিপিজের এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ার অনেক পর সাংবাদিকদের নাম প্রায়ই এতে যুক্ত করা হয়। মে মাসে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, গত বছরের বিক্ষোভের পর ১৪০ জনের বেশি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

শ্যামল দত্তের মেয়ে শশী সিপিজেকে বলেন, তাঁর বাবার বিরুদ্ধে এখন কতগুলো মামলা চলছে, পরিবার তার হিসাব রাখতে পারেনি। তাঁরা অন্তত ছয়টি হত্যা মামলার কথা জানেন, যেখানে শ্যামল দত্তের নাম আছে। মোজাম্মেল বাবুর পরিবার ১০টি মামলার কথা জানে। ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদের পরিবার সিপিজেকে জানিয়েছে, তারা পাঁচটি মামলার এফআইআর পাননি, যেখানে একজন বা অন্য সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মানে হলো তাঁদের কেউই জামিনের আবেদন করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম ও পুলিশের মুখপাত্র এনামুল হক সাগরকে ই–মেইল করে সিপিজে। তবে তাঁরা সাড়া দেননি বলে সিপিজের নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ