Prothomalo:
2025-07-31@08:15:31 GMT

শহীদ দিবসে আজ ‘বর্ণমেলা’

Published: 21st, February 2025 GMT

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের অংশ হিসেবে আজ একুশে ফেব্রুয়ারিতে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘বর্ণমেলা’। বাংলা বর্ণ নিয়ে সৃজনশীল আয়োজন বর্ণমেলা ধানমন্ডির সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে। বাংলা বর্ণমালা, ভাষা ও ভাষাগত ঐতিহ্যের পাশাপাশি এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় প্রদর্শিত হবে এ মেলায়। দুরন্ত শৈশবের আনন্দ নিয়ে জমবে এবার বর্ণমেলা।

প্রথম আলোর আয়োজনে বর্ণমেলায় সহযোগিতা করছে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্র্যান্ড মেরিল বেবি। সহযোগিতা করছে সেপনিল, সুপারমম এবং প্রচার সহযোগী এটিএন বাংলা।

এবারও মেলায় শিশু-কিশোরদের জন্য থাকছে কিছু প্রতিযোগিতা। দশম শ্রেণি পর্যন্ত যেকোনো শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারবে এ প্রতিযোগিতায়। থাকবে দুরন্ত শৈশবের বর্ণাঙ্কন (ছবি আঁকা) ও বর্ণলিখন (সুন্দর হাতের লেখা) প্রতিযোগিতা। দুরন্ত শৈশবের বর্ণাঙ্কন প্রতিযোগিতা শুরু হবে সকাল ৯টায়, হাতের লেখা প্রতিযোগিতা বেলা ১০টায়। আর বর্ণ বানানোর প্রতিযোগিতা বর্ণ কারিগরে অংশগ্রহণকারীদের পাঠানো বর্ণ দিয়েই আয়োজন করা হবে প্রদর্শনীর। প্রতিযোগিতা হবে তিন বিভাগে। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ‘ক’ বিভাগ, চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি ‘খ’ এবং সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে ‘গ’ বিভাগের হয়ে।

বর্ণমেলায় থাকবে সেরা চিঠির প্রদর্শনী, ঐতিহ্যবাহী নানান খেলা, পাপেট শো, জাদু প্রদর্শনী, গানসহ নানা আয়োজন।

দিনব্যাপী আয়োজনটিতে অতিথি হিসেবে শিল্পী আবদুল মান্নান, অভিনেতা ও চিত্রশিল্পী আফজাল হোসেন, শিল্পী ফারেহা জেবা, শিল্পী আনিসুজ্জামান সোহেল, অভিনেত্রী সাবিলা নূর, কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা, কণ্ঠশিল্পী ওয়ার্দা আশরাফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারিক মনজুর, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং জেসমিন জামান, প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। আয়োজনটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রদর শ র বর ণ

এছাড়াও পড়ুন:

ডেঙ্গুতে জুনের চেয়ে জুলাইয়ে মৃত্যু ও সংক্রমণ দ্বিগুণ

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় এখন প্রায় এমন কোনো এলাকা নেই, যেখানে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব বা ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর নিচে। এমন অবস্থা চট্টগ্রাম, বরগুনা, কুমিল্লা, কক্সবাজার শহরেরও। এডিস মশার লার্ভা বা শূককীটের ঘনত্ব পরিমাপের স্বীকৃত পদ্ধতি হলো ‘ব্রুটো ইনডেক্স (বিআই)’। এই মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হওয়া মানে সেখানে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হবে।

মশা নিয়ে নিয়মিত জরিপ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার। তাঁর নেতৃত্বে সম্প্রতি গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে।

দেশে এডিস মশা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে এ মশার কামড়ে হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, জুন মাসের তুলনায় ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা জুলাইয়ে (৩০ জুলাই পর্যন্ত) দ্বিগুণের বেশি। আর সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ।

সংক্রমণ ও মৃত্যু দুই-ই বেশি

গতকাল পর্যন্ত দেশে ২০ হাজার ৭০২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮১ জনের। শুধু জুন মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছিল ১৯ জনের। আর চলতি মাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। জুনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫ হাজার ৯৫১ জন। আর এ মাসে ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪০৬ জন। চলতি মাসের সংক্রমণের এ সংখ্যা আগের ছয় মাসের বেশি। জুন থেকে জুলাই মাসে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১০ হাজার ২৯৬ জন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে যত রোগী আক্রান্ত হয়েছে, এর মধ্যে মাত্র ২১ শতাংশ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার। বাকি ৭৯ শতাংশ রোগীই ঢাকার বাইরের। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৬ রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

এ মাসের শুরুতে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি হলেও প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি বেড়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবার উত্তর সিটিতে রোগী ভর্তি কম। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৪২ জন রোগী উত্তরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন, আমরা তাঁদের প্রত্যেকের তথ্য নিয়ে দেখেছি, তাঁদের মধ্যে মাত্র ১৮ জন এই সিটির বাসিন্দা। বাকিরা বাইরের।’

মৃত্যু বেশি গতবারের চেয়ে

এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে যে ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে ৪৬ জন মারা গেছেন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। অন্যরা দেশের অন্যত্র মারা গেছেন। গত বছর (২০২৪) এ সময় ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছিলেন ৫৬ জন।

ডেঙ্গুতে এবারের মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার পেছনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাফিলতি, স্থানীয় সরকারের সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়হীনতা, পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সরঞ্জামের অভাব এবং ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচারের অভাবকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ বিভাগের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক হালিমুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব নেই। প্রতিটি হাসপাতালকে পরিচালন বাজেট থেকে ব্যয় করতে বলা হয়েছে। মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার কারণ রোগী আসছে অনেক দেরিতে। তখন আর চিকিৎসকের কিছু করার থাকে না।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ডেঙ্গুতে রোগী ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার কারণ সরকারের গতানুগতিক কাজ এবং অব্যবস্থাপনা। মানুষের কাছে ডেঙ্গু শনাক্তের সুযোগ পৌঁছায়নি। নীতিনির্ধারণী স্তরে এ নিয়ে কোনো ভাবনা আছে, এমন একেবারেই মনে হয় না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ