বাংলাদেশের ২২৮ রান তাড়া করতে নেমে ভারত জিতেছে ৬ উইকেট ও ২১ বল হাতে রেখে। এ তথ্যটুকু একটি বিষয় তুলে ধরে—বাংলাদেশের পুঁজি একটু কম হয়েছে। আরও ৩০–৩৫ রান হলে ভারত অন্তত এত সহজে ম্যাচটি জিততে পারত না। কিংবা কে জানে, ফল অন্য রকমও হতে পারত! কিন্তু ম্যাচ শেষে তো আর ‘যদি–কিন্তু’ নিয়ে আলোচনায় ফল নেই। এখন প্রস্তুতি নিতে হবে পরের ম্যাচের। সে ম্যাচ শেষে যেন এমন সব আক্ষেপ জেগে না ওঠে, নিশ্চিত করতে হবে সেটাও।

আরও পড়ুনআফগানিস্তান অধিনায়ক বললেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হতেই এসেছি’৫ ঘণ্টা আগে

দুবাইয়ে কাল ভারত–বাংলাদেশ ম্যাচটি দেখে থাকলে নিশ্চয়ই এটাও জানা, নাজমুল হোসেনের দল এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিল যে, দুই শ পার করা সংগ্রহটাই অনেকের কাছে স্বস্তির। ৮.

৩ ওভারে ৩৫ রানে পড়েছিল ৫ উইকেট। ওপরের ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে পাঁচজনই ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন, যেখানে ০ রানে আউট হয়েছেন তিনজন। এমন বিষম চাপের মধ্যে ষষ্ট উইকেটে ২০৬ বলে রেকর্ড ১৫৪ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের সংগ্রহকে ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যান জাকের ও তাওহিদ হৃদয়। ৪২.৪ ওভারে দলীয় ১৮৯ রানে জাকেরের আউটে ভেঙেছে এই জুটি। হৃদয় পরে সেঞ্চুরি পেলেও জাকের ১১৪ বলে ৬৮ রানে আউট হন।

হৃদয়ের সঙ্গে রেকর্ড রানের জুটি গড়েন জাকের

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ