১১ ম্যাচে ৪, রাচিন রবীন্দ্র এখানে সেঞ্চুরি করতেই আসেন
Published: 25th, February 2025 GMT
২০২৩ সালে বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। দেড় বছর পর নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি পেলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিষেকেও। কাল রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাওয়া সেঞ্চুরিটি রেকর্ড বইয়েও জায়গা করে দিয়েছে রাচিন রবীন্দ্রকে।
আইসিসির ওয়ানডে ইভেন্টে (বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি) এটি ছিল রাচিনের চতুর্থ সেঞ্চুরি। আইসিসি ইভেন্টে যা নিউজিল্যান্ডের কোনো ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড।
২০২৩ বিশ্বকাপে তিনটি সেঞ্চুরি করা রাচিন পেছনে ফেলেছেন নাথান অ্যাস্টল ও কেইন উইলিয়ামসনকে। অ্যাস্টল ১৯৯৬ বিশ্বকাপ থেকে ২০০৬ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত ৩৫ ম্যাচ খেলে করেন ৩ সেঞ্চুরি। অন্যদিকে উইলিয়ামসনও ২০১১ বিশ্বকাপ থেকে এ পর্যন্ত আইসিসির ওয়ানডে টুর্নামেন্টে ৩৫ ম্যাচ খেলে করেছেন ৩টি সেঞ্চুরি। এই রেকর্ড ১১ ম্যাচ খেলেই ভেঙে ফেললেন রাচিন।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর রাচিন রবীন্দ্র। বিশ্বকাপে সেটিই ছিল রাচিনের প্রখম ম্যাচ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।
সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।
স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা