Samakal:
2025-07-31@07:22:10 GMT

বই পড়ার বিকল্প নেই

Published: 3rd, March 2025 GMT

বই পড়ার বিকল্প নেই

রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের আয়োজনে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী অংকুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে ‘বই পড়া প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সুভা’ গল্প নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। 
প্রতিযোগিতার আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি কমল কান্তি সরকার। বক্তব্য দেন সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের উপদেষ্টা মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক 
গোলাম সারওয়ার, আব্দুর রউফ হিটু, দেলোয়ার হোসেন, সমকালের রাজবাড়ী প্রতিনিধি সৌমিত্র শীল চন্দন প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সুহৃদ সাধারণ সম্পাদক রবিউল রবি। 
সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মানুষের জীবনের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ বা বই পড়ে জ্ঞানের চর্চা করা এটি অন্যতম একটি কাজ। যদি মানুষকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হয় তাহলে তাকে বই পড়তে হবে। বেলুনে যত ফুঁ দেবে ততই প্রসারিত হবে। বই পড়াটাও সে রকম। আমরা যত জ্ঞানের চর্চা করব ততই আমাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়বে। তিনি সুহৃদদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘গ্রামের নাম চণ্ডীপুর। নদীটি বাংলাদেশের একটি ছোট নদী, গৃহস্থঘরের মেয়েটির মতো; বহুদূর পর্যন্ত তাহার প্রসার নহে; নিরলসা তন্বী নদীটি আপন কূলরক্ষা করিয়া কাজ করিয়া যায়; দুই ধারের গ্রামের সকলেরই সঙ্গে তাহার যেন একটা-না-একটা সম্পর্ক আছে। দুই ধারে লোকালয় এবং তরুচ্ছায়াঘন উচ্চতট; নিম্নতল দিয়া গ্রামলক্ষ্ণী স্রোতস্বিনী আত্মবিস্মৃত দ্রুত পদক্ষেপে প্রফুল্ল হৃদয়ে আপনার অসংখ্য কল্যাণকার্যে চলিয়াছে। রবীন্দ্রনাথের গল্পের কথামালার মতো সুহৃদরা সবার জন্য কল্যাণকর কাজ করে যাচ্ছে।’ 
মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘জ্ঞানের চর্চা করতে হলে বই পড়তেই হবে। নিয়মিত পড়তে হবে, মানসম্মত বই পড়তে হবে।’
গোলাম সারওয়ার বলেন, তোমরা যারা অংশগ্রহণ করেছ, তারা সবাই একজন বীরযোদ্ধা। তোমাদের কলমের যুদ্ধে এগিয়ে যাবে দেশ।
আব্দুর রউফ হিটু বলেন, বই পড়তে হবে। নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে বই পড়ার বিকল্প নেই।  
দেলোয়ার হোসেন বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি একটা ভালো কিছু বেছে নিতে হবে। সেটা বই পড়াও হতে পারে। সুহৃদ সমাবেশের কার্যক্রম ও বই পড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেন সমকালের রাজবাড়ী প্রতিনিধি সৌমিত্র শীল চন্দন। প্রতিযোগিতায় সেরা আটজনকে পুরস্কার হিসেবে বই এবং সব       অংশগ্রহণকারীকে উপকরণ উপহার দেওয়া হয়। v
সমন্বয়ক সুহৃদ সমাবেশ, রাজবাড়ী 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বই পড়ত

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন। 

ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।

ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”

প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।

মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”

মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।

গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ