ছাত্র হত্যা মামলার আসামি পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম মর্তুজাকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা একটি মামলায় সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোলাম মর্তুজা উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা ৮ নম্বর মামলার ১৪৮ নম্বর আসামি।
 
জানা যায়, গোলাম মর্তুজাকে পল্লবীর আলাদ্দিটেক সরকার আবাসিক এলাকা হতে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১ এর একটি দল। উত্তরা পশ্চিম থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক অধিযাচনপত্রের আলোকে এজাহারনামীয় আসামি তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরা পশ্চিম থানার অধিযাচনপত্রের মামলার সঙ্গে সব তথ্য মিলে যায় ও নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। 

মঙ্গলবার র‌্যাব-১ এর পক্ষ থেকে এসআই শেখ মো.

মেহেদী হাসান গ্রেপ্তার আসামি মর্তুজাকে থানায় হস্তান্তর করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রেপ্তার গোলাম মর্তুজা পল্লবীতে জমি দখল এবং চাঁদাবাজির জন্য আলাদা কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে আসছিলেন। গোলাম মর্তুজার বাবা হাজী কাবিল হোসেন সরকার পল্লবীর মুসলিম বাজারের সভাপতি ছিলেন। মুসলিম বাজারের সভাপতি থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে দুদকসহ কয়েকটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ইলিয়াস মোল্লার অন্যতন সহযোগী গোলাম মর্তুজা।

প্রসঙ্গত, পল্লবী থানা এবং ক্যান্টনমেন্ট থানার আওতাধীন জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত নিরপরাধ ছাত্র-জনতার ওপর বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষ থেকে যত হামলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির নেপথ্যে গোলাম মর্তুজা অন্যতম ইন্ধন ও অর্থদাতা বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞকে কেন্দ্র করে ঢাকার বিভিন্ন থানায় মর্তুজার নামে ৪টি মামলা হয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ