বসন্তকালীন অধিবেশনের উদ্বোধনী দিনে সার্বিয়ার বিরোধী দলের আইন প্রণেতারা দুর্নীতি বিরোধী বিক্ষোভের অংশ হিসেবে পার্লামেন্টের ভেতরে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছেন। মঙ্গলবার দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার আইনসভার অধিবেশনে সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টি (এসএনএস) এর নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট এজেন্ডা অনুমোদনের পর বিরোধী দলের কয়েক জন আইনপ্রণেতা তাদের আসন থেকে বেরিয়ে স্পিকার আনা ব্রনাবিচের দিকে ছুটে যান এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে ধস্তাধস্তি করেন। অন্যরা স্মোক গ্রেনেড এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে ভবনের ভিতরে কালো এবং গোলাপী ধোঁয়া দেখা গেছে।

একটি লাইভ ভিডিও ফিডে দেখা যায়, স্পিকার আনা ব্রনাবিচ বিরোধী দলের প্রতিবাদের তীব্র নিন্দা করে বলছেন, “তোমাদের রঙিন বিপ্লব ব্যর্থ হয়েছে, আর এই দেশ বেঁচে থাকবে। এই দেশ কাজ করবে এবং এই দেশ জিততে থাকবে।”

ব্রনাবিচ জানান, সংঘাতের ঘটনায় দুই আইনপ্রণেতা আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন স্ট্রোক করেছিলেন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

গত বছর একটি ট্রেন স্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জন নিহতের পর ছাত্রদের নেতৃত্বে দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভে কয়েক মাস ধরে সার্বিয়া কাঁপছে। এই আন্দোলন সার্বিয়া সরকার এবং প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুচিচের উপর ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টি করেছে। আন্দোলনের জেরে জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েল যেসব শর্ত না মানলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

ইসরায়েল কিছু শর্ত না মানলে আগামী সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার নিজ মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় এ কথা বলেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। শর্তগুলোর একটি হলো—গাজায় ‘ভয়াবহ পরিস্থিতির’ অবসানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে ইসরায়েল সরকারকে। যুক্তরাজ্য সরকারের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছেন স্টারমার। ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ পরিস্থিতির অবসানে পদক্ষেপ না নিলে, যুদ্ধবিরতিতে না গেলে, পশ্চিম তীরে দখলদারি থামানোর বিষয়ে প্রতিশ্রুতি না দিলে এবং দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি শান্তিপ্রক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি না দিলে এ স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘তিনি (স্টারমার) আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কোনো তুলনা চলে না। হামাসের প্রতি আমাদের দাবিগুলোয় কোনো পরিবর্তন আসেনি। হামাসকে অবশ্যই সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে, এটা মেনে নিতে হবে যে গাজার প্রশাসনে তাদের কোনো ভূমিকা থাকবে না এবং অস্ত্র পরিত্যাগ করতে হবে।’

গ্রীষ্মকালীন ছুটির মধ্যেই মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। এই বৈঠকেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বৈঠকে তিনি ইউরোপের অন্য নেতাদের সঙ্গে নিয়ে প্রস্তাবিত নতুন একটি শান্তি পরিকল্পনা এবং গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে স্টারমারের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। দিন কয়েক আগে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে তাঁর উদ্দেশে চিঠি লেখেন যুক্তরাজ্যের ২২১ জন আইনপ্রণেতা। তাঁদের মধ্যে স্টারমারের দল লেবার পার্টির আইনপ্রণেতারাও ছিলেন।

সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন তিনি। এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ১৩৯টি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আরও পড়ুনফ্রান্স কেন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে, আসল কারণ কী১৬ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে ২২১ আইনপ্রণেতার চিঠি২৬ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসরায়েল যেসব শর্ত না মানলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য