৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ সামাদ হৃদরোগে মারা গেছেন
Published: 5th, March 2025 GMT
কুমিল্লার দেবিদ্বারে গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত আব্দুস সামাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেল ৩টায় ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
আব্দুস সামাদ কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের ধামতী উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। দেবিদ্বার থানার ওসি শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটি দেবিদ্বার উপজেলা শাখার সদস্য নাহিদুল ইসলাম নাহিদ জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের দিন থানা ঘেরাওকালে দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সামাদ। এ সময় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে গত সাত মাস হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
দেবিদ্বার থানার ওসি শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, পায়ের উরুতে গুলিবিদ্ধ হন সামাদ। তিনি বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে মামলা চলমান আছে। সম্প্রতি সামাদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা/রুবেল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।