জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘সন্তানদের একটি ভালো ভবিষ্যতের জন্য আবদুস সামাদরা বুক পেতে দিয়েছিলেন গুলির সামনে। তাই দেশকে গড়ার দায়িত্ব আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে নিতে হবে। এটা একজন–দুজনের কাজ নয়। যে যেই ব্যানারেই হোক না কেন, যে মতাদর্শের লোকই হোক না কেন, দিন শেষে আমরা সবাই দেশকে ভালোবাসি। এই যে সামাদ ভাই দেবীদ্বারকে ধারণ করে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামাদ ভাইদের স্বপ্ন, ফ্যাসিবাদমুক্ত একটি সুন্দর দেবীদ্বার গড়তে হবে।’

কুমিল্লার দেবীদ্বারে গত ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ আবদুস সামাদের হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পর আজ বুধবার সকালে জানাজার আগে দেওয়া বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

আবদুস সামাদ (৫২) ছিলেন দেবীদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের দিন দেবীদ্বার থানা ঘেরাওকালে স্থানীয় রেয়াজ উদ্দিন সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এর পর থেকে সাত মাস হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আজ সকালে ধামতী এলাকার হাবিবুর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘নিহত সামাদ ভাইয়ের পরিবারের দায়িত্ব আমরা নিচ্ছি। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁর পরিবারের যেসব সুযোগ-সুবিধা দরকার তা নিশ্চিত করব। শহীদ পরিবারের জন্য যে ফান্ড গঠন করা হয়েছে জুলাই ফাউন্ডেশন, সেটি থেকে তাদের যে প্রাপ্য রয়েছে সেগুলো নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব করা হবে।’

জানাজায় কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী, উত্তর জেলা জামায়েত ইসলামীর সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম (শহীদ), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খান, দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছসহ রাজনৈতিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ স স ম দ

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ