২৫% নগদ লভ্যাংশ দেবে পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স
Published: 6th, March 2025 GMT
লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শেষ হওয়া বছরের জন্য কোম্পানিটি ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। এবার তারা বোনাস লভ্যাংশ দিচ্ছে না।
বুধবার অনুষ্ঠিত কোম্পানিটি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শেষ হওয়া বছরে পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ৪ টাকা ৯৭ পয়সা। অর্থাৎ সেই তুলনায় গত বছর কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে।
এ ছাড়া গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪৪ টাকা ৬৫ পয়সা। আগামী ৬ মে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ এপ্রিল।
গত এক বছরে পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৬৮ টাকা ৫০ পয়সা ও সর্বনিম্ন দাম ছিল ৪২ টাকা ৭০ পয়সা।
২০২৩ সালে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালে তারা ২৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২১ সালে ২৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস এবং ২০২০ সালে ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ নগদ
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ শতাংশ
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ৩২১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-মার্চ) ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ২৫৭ কোটি ডলার। সেই হিসেবে এ বছর বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এমনকি চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে গত অর্থবছরের কাছাকাছি ঋণের সুদাসল পরিশোধ হয়ে গেছে।
বিদেশি ঋণ-অনুদান পরিস্থিতির ওপর গতকাল বুধবার প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ পরিশোধের মধ্যে আসলের পরিমাণ ২০১ কোটি ডলার। সুদ বাবদ ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৬৪ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।
ইআরডির একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আগ্রাসী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় পরিণাম চিন্তা না করে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হারের তারতম্য বাড়াসহ নানা কারণে এখন বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে দেশে মোট প্রায় ৪৮১ কোটি ডলার সমপরিমাণ বিদেশি ঋণ-অনুদান এসেছে। এ সময়ে ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়েছে অর্থছাড়ের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের সমান। এদিকে গত জুলাই-মার্চ সময়ে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গতবারের একই সময়ে পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্ধেকের কম।
গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭২৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল। জুলাই-মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১২২ কোটি ডলার ছাড় করেছে এডিবি। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ১০৭ কোটি ডলার ও জাপান ৮৯ কোটি ডলার দিয়েছে।