টাঙ্গাইলে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক খোন্দকার আনিছুর রহমানের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল ১১টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান খোন্দকার আনিছুর রহমান।

লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, “জীবন নামে এক ছেলে আওয়ামী লীগের এমপি ছোট মনিরের সাথে চলাচল করে বিভিন্ন ছবি ফেসবুকে পোস্ট করতেন। সেই ছেলে আবার জাতীয় নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সাথে সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে। সেই ছবি আমার ফেসবুকে শেয়ার হয়েছিল। গত ৩ মার্চ রাতে শহরের রেজিষ্ট্রিপাড়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ তাকে ডেকে নিয়ে কথা কাটাকাটি করে। এক পর্যায়ে রাশেদের সাথে থাকা আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি খন্দকার আসাদুজ্জামানের ভাতিজা আব্দুল্লাহ হেল কাফি আমার ওপর হামলা করে।”

এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে বুধবার টাঙ্গাইল সদর থানা ও জেলা বিএনপির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রাশেদুল আলম বলেন, “আনিছুর রহমান দলের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালান। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির নেতাদের কাছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। যে কারণে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন। তার ওপর হামলার কোনো প্রমাণ দিতে পারবেন না তিনি।”

জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামীল শাহীন বলেন, “আনিছুর রহমানের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

টাঙ্গাইল/কাওছার/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ