কলকাতায় পর্যালোচনা বৈঠকে যৌথ নদী কমিশন সদস্যরা
Published: 6th, March 2025 GMT
গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি পর্যালোচনা করতে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) ৮৬তম বৈঠক শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতার একটি হোটেলে বৈঠকে বসে দুই দেশের যৌথ কমিটির প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা পানি কম পাওয়ার কারণে কী কী সমস্যার মুখে পড়তে হয়, তা নিয়ে আলোচনা করেন। পানি কম পেলে কীভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে সেচ কার্যক্রম ও জীববৈচিত্র্য সংকটে পড়ে এবং সুন্দরবন অঞ্চলে সমস্যা দেখা দেয়– এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা মোহাম্মদ আবুল হোসেন পানি বণ্টন নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানান। তবে প্রবাহ কম থাকার কারণে দুই দেশই পানি কম পাচ্ছে বলে জানান তিনি।
আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় যৌথ নদী কমিশনের টেকনিক্যাল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে নদীর পানি-সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদানের পাশাপাশি, বন্যার প্রতিবেদন, সীমান্ত নদীগুলোকে কেন্দ্র করে দুই দেশের পরিকল্পনা-সংক্রান্ত দ্বিপক্ষীয় সিদ্ধান্ত আলোচিত হবে বলে জানা গেছে।
গতকালের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে মোহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে অংশ নেন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মিদরী জাহান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ শামছুজ্জামান, কমিশন সদস্য (কারিগরি কমিটি) মোহাম্মদ আবুল হোসেন প্রমুখ। ভারতের পক্ষে ছিলেন যৌথ নদী কমিশনের সদস্য ও জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা শরত চন্দ্র, ফারাক্কা ব্যারাজের জেনারেল ম্যানেজার আর ডি দেশপান্ডে প্রমুখ।
গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি সই হয় ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত