‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে গার্মেন্টস কর্মকর্তাকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৪
Published: 7th, March 2025 GMT
চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে পোশাক কারখানার এক কর্মকর্তা ও তার চালককে বাসা থেকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনার পর গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত নগরের আকবরশাহ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে অপহরণের পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন– নগরের ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের নাজমুল আবেদিন, একই ওয়ার্ডের সিটি গেইট এলাকার নইমুল আমিন ইমন, আকবরশাহ থানার সিডিএ আবাসিক এলাকার আরাফাত হোসেন ফাহিম ও রিসতি বিন ইউসুফ। তাদের মধ্যে নাজমুল আবেদীন নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন, এই নামে তাদের কোনো সদস্য নেই।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাজমুলের নেতৃত্বে নগরের আকবরশাহ থানার সিডিএ আবাসিক এলাকার বাসা থেকে প্যাসিফিক জিন্সের এজিএম আবেদিন আল মামুনকে অপহরণ করা হয়। তার গাড়িচালক জুয়েলকেও জিম্মি করে তারা। পরে গাড়িতে নগরের পতেঙ্গা সাগরপাড়, কর্নেলহাট জোন্স রোড, পাহাড়তলী ও আকবরশাহ থানার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে থাকে দলটি। এর মধ্যে মামুনের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার লিলির সঙ্গে যোগাযোগ করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। লিলি তাদেরকে পাঁচ লাখ টাকা নগদ পরিশোধ করেন। বাকি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক লিখে দেন। পরে রাত আড়াইটার দিকে নগরের জাকির হোসেন সড়কের অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে মামুন ও জুয়েলকে রেখে সটকে পড়ে দলটি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এরপর সকাল ৯টা পর্যন্ত একাধিক অভিযানে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ইমনের বাসা থেকে পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) হুসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, বারবার স্থান পরিবর্তন করায় দলটিকে তারা প্রথমে ধরতে পারেননি। একপর্যায়ে তারা ওই কর্মকর্তা ও তার চালককে রেখে পালায়। পরে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন বলেন, কমিটি ঘোষণার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। তা ছাড়া যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা কেউ আমাদের সদস্য নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ভাঙিয়ে কেউ অপকর্ম করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করেছি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সমন বয়ক গ র প ত র কর সমন বয়ক নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।