রমজানের প্রথম জুমায় বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদে মুসল্লিদের ঢল
Published: 7th, March 2025 GMT
পবিত্র রমজানের প্রথম জুমায় আজ শুক্রবার বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নামে। প্রতিদিনের মতো পর্যটকের আনাগোনা কিছুটা কম থাকলেও ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ভিড় করেন। জুমার নামাজের আগে ইমামের খুতবার আগেই পরিপূর্ণ হয়ে যায় মসজিদ।
আজ ষাটগম্বুজ মসজিদে জুমার নামাজে ইমামতি করেন ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো.
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ বলেন, সুলতানি আমলের তুঘলকি (তুরস্ক) স্থাপত্যশৈলীতে চুন, সুরকি, কালো পাথর ও ছোট ইটে এই মসজিদ হজরত খানজাহান (রহ.) নির্মাণ করেন। ষাটগম্বুজ মসজিদে কোনো শিলালিপি না থাকলেও এর নির্মাণশৈলী এবং এই অঞ্চলের তাঁর তৈরি অন্যান্য মসজিদ ও স্থাপনা বিবেচনায় এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়।
৬০০ বছরের পুরোনো এই মসজিদে প্রতিদিনই দেশ-বিদেশের অসংখ্য দর্শনার্থী ঘুরতে ও দেখতে আসার পাশাপাশি নামাজ আদায় করতে আসেন। বিশেষ করে জুমার দিনে মসজিদ পূর্ণ হয়ে বাইরেও দুই-তিন কাতার দিতে হয়। দুই থেকে তিন হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন এখানে।
খুলনা থেকে আসা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘রমজানের প্রথম জুমায় এখানে নামাজ আদায় করতে পেরে ভালো লাগছে। বন্ধুরা একসঙ্গে খুলনা থেকে এসেছি। মসজিদের পবিত্রতা ও পরিবেশ যেমন মুগ্ধ, এখানে আসতে পেরে আত্মতৃপ্তি লাগছে।’
জুমার নামাজ পড়তে আসা আশরাফ আলী বলেন, ‘প্রতিবছর অন্তত একবার ষাটগম্বুজ মসজিদে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু রমজানের প্রথম জুমায় আসতে পারা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। এখানে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়লে একধরনের আধ্যাত্মিক প্রশান্তি অনুভব করি। তাই চট্টগ্রাম থেকে এত দূর আসা।’
ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, রমজানের প্রথম জুমায় প্রতিবছরই মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। তারাবিহর নামাজের জন্য দুজন স্বনামধন্য হাফেজ দিয়ে খতম তারাবিহ পড়ানো হচ্ছে। প্রতিদিন দেড় শ থেকে দুই শ মানুষ ইফতার করেন। কখনো কখনো এই সংখ্যা আরও বাড়ে। রমজানে দূরদূরান্ত থেকে অনেক মুসল্লি আসেন। তাঁরাও তাঁদের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রমজ ন র প রথম জ ম য়
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।