বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ৬ ভারতীয় আটক, জরিমানা-মুচলেকায় ছাড়া
Published: 7th, March 2025 GMT
বেনাপোল টেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে ভ্রমণ কর জালিয়াতির অভিযোগে ৬ ভারতীয়কে আটক করেছে পুলিশ। পরে দ্বিগুণ হারে ভ্রমণ কর ও মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ৬ জনকে আটক করে কাস্টমসের কাছে সোপর্দ করে।
আটকরা হলেন, কলকাতার আহম্মেদ মুসাইন, সগির হোসেন, জিন্নাত খাতুন, রেশমা খাতুন, নুদরাত আরা ও পারভিন শাহিন।
আটকরা জানান, তারা ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য এনে বাংলাদেশে বিক্রি করেন। বুধবার তারা আকাশ পথে বাংলাদেশে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ফিরছিলেন। ভ্রমণ করের জাল রসিদ তাদের কলকাতা থেকে পাঠিয়েছে বলে জানান তারা। সীমান্ত পার হওয়ার সময় কাস্টম রসিদ পরীক্ষা করলে তারা ধরা পড়েন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, পুলিশ চেকপোস্টে নিয়মিত টহলের সময় সন্দেহ হলে ওই পাসপোর্টধারীদের নিয়ে কাস্টমসে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক পরীক্ষা করে ভ্রমণ করের রসিদগুলো জাল বলে নিশ্চিত করা হয়। পরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের নতুন করে ভ্রমণ ট্যাক্স কেটে ভারতে পাঠায়। পরে অভিযুক্তরা শাস্তি হিসেবে দ্বিগুণ হারে ভ্রমণ কর (প্রত্যেকে দুই হাজার টাকা) দিয়ে ছাড়া পান। পরে এ ধরনের অপরাধ করবেন না- এমন মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয় কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বন্দর সূত্রে জানা গেছে, পাসপোর্টধারীদের ভ্রমণ করের রসিদ সঠিক কিনা তা পরীক্ষার জন্য বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে নির্দিষ্ট কারো তদারকি নেই। ফলে প্রায়ই ঘটছে কর ফাঁকির ঘটনা।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক স টমস
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট
পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।
ঢাকা/শাহেদ