ফাইনালের আগে নিউজিল্যান্ডের হাঁড়ির খবর ফাঁস করলেন ভারতের নেট বোলার
Published: 9th, March 2025 GMT
দুবাইয়ে আজ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি ভারত–নিউজিল্যান্ড। একই ভেন্যুতে দুই দল গ্রুপ পর্বেও মুখোমুখি হয়েছিল, ৪৪ রানে জিতেছিল ভারত।
ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের বড্ড ভুগিয়েছিলেন ভারতীয় স্পিনাররা। ১০ উইকেটের ৯টিই নিয়েছিলেন চার স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী, কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাদেজা।
ফাইনালের আগে ভারতের স্পিন আক্রমণ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি সতর্ক কেইন উইলিয়ামসন, রাচিন রবীন্দ্র, ড্যারিল মিচেলরা। শুধু তা–ই নয়; বরুণ–কুলদীপদের সামলাতে তাঁদের ওপর চড়াও হয়ে সব পরিকল্পনা এলোমেলো করে দিতে পারেন উইলিয়ামসনরা। নিউজিল্যান্ডের এই হাঁড়ির খবর ফাঁস করেছেন শাশ্বত তিওয়ারি নামে ভারতেরই এক নেট বোলার!
শাশ্বত তিওয়ারি পেশায় একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলী। পাশাপাশি ক্রিকেটও খেলেন। সম্প্রতি তিনি ভারত ছেড়ে দুবাইয়ে স্থানান্তরিত হয়েছেন। সেখানে আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে কাল নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের নেটে বল করার সুযোগ পেয়েছেন। কিউইরা কীভাবে ফাইনালের বিশেষ প্রস্তুতি সেরেছে, অনুশীলন শেষে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই ও এএনআইকে তিনি সব বলে দিয়েছেন।
আরও পড়ুনভারত–নিউজিল্যান্ড ফাইনালের ফল ঠিক করে দিতে পারে যে ৫ ‘ফ্যাক্টর’০৭ মার্চ ২০২৫পিটিআইকে শাশ্বত বলেছেন, ‘আমি একজন লেগ স্পিনার ও ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আমি একজন ভারতীয় ও সম্প্রতি দুবাইয়ে চলে এসেছি। বর্তমানে আইসিসি একাডেমিতে খেলছি। আজ (কাল রাতে) আমি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অনুশীলন সেশনে বল করার সুযোগ পেয়েছি। আমি বেশ সৌভাগ্যবান যে গ্লেন ফিলিপসকে বোল্ড করতে পেরেছি। তিনি ভেবেছিলেন, আমি লেগ ব্রেক করব। কিন্তু আমি গুগলি করেছি, যা তিনি বুঝতে পারেননি।’
এএনআইকে শাশ্বত বলেছেন, ‘ভারতের বাঁহাতি স্পিনারদের কীভাবে সামলাবেন, এটা নিয়েই নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা নেটে বেশি কাজ করেছেন। আমি বলছি না, তাঁরা স্পিন খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়বেন। তবে ভারতের স্পিন আক্রমণ খুব শক্তিশালী। আমার মনে হয় না, তাঁরা (ভারতের স্পিনারদের) সহজেই সামলাতে পারবেন।’
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের বড্ড ভুগিয়েছেন ভারতের স্পিনাররা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন ফ ইন ল র
এছাড়াও পড়ুন:
রাতারাতি তারকা হলে দীর্ঘ সময় দর্শকের মনে থাকা কঠিন: রিচি
রিচি সোলায়মান। ছোটপর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী এখন অনেকটাই আড়ালে। আজ বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে প্রকাশ হয়েছে বিশেষ গানচিত্র ‘বাবা শুনতে কী পাও’। এতে অভিনয় করেছেন রিচি সোলায়মান। এই গানচিত্র এবং সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন মীর সামী
আপনার অভিনীত গানচিত্র ‘বাবা শুনতে কী পাও’ নিয়ে কিছু বলুন?
‘বাবা শুনতে কি পাও’ শিরোনামের এই বিশেষ গানটি তৈরি করেছেন প্রান্তিক সুর। তাতে কণ্ঠ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী গজল ঘরানার শিল্পী শিরিন চৌধুরী। গানটির কথাও লিখেছেন শিল্পী নিজে। গানচিত্রে একটি সুন্দর সামাজিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিয়ের পর একটা মেয়ের স্বপ্ন যেন মরে না যায় এবং শুধু মানুষটাকে নয়, তার স্বপ্নকেও ভালোবাসার সংবেদনশীল এবং হৃদয়স্পর্শী বাবার অনুরোধের বার্তা থাকছে এতে। গানের কথার সূত্র ধরে গল্পনির্ভর ভিডিওটিতে বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত আর মেয়ের ভূমিকায় আমি। অনেকদিন পর হায়াত চাচার সঙ্গে কাজ করলাম।
এই কাজটির সঙ্গে যুক্ত হলেন কীভাবে?
কিছুদিন আগে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী আমায় গানচিত্রটিতে অভিনয়ের জন্য বললেন। যখন শুনলাম এই গানে বাবার ভূমিকায় অভিনয় কবেন আবুল হায়াত চাচা; ঠিক তখনই রাজি হয়েছি। কারণ, আমি হায়াত চাচার পরিচালনায় অনেক নাটকে তাঁর মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। তাই ভাবলাম বাবা দিবসের এই কাজটি আমাদের আরও একটি ডকুমেন্টেশন হয়ে থাক। আমাদের এই কাজে একজন মেয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে বাবাকে ঘিরে তার স্মৃতি, ভালোবাসা আর না বলা কথাগুলো উঠে এসেছে। কাজটি করার সময় আমার বাবার কথা খুব মনে পড়ছিল। একজন বাবার অবদান যে কত বিশাল, সেটি অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না–এই গানচিত্রে সেটিই তুলে ধরা হয়েছে।
আপনাকে এখন টিভি নাটকে খুব কম দেখা যায়। ইচ্ছা করেই দূরে সরে আছেন?
আমি এখন পরিবার আর নিজের সময়কে প্রাধান্য দিচ্ছি। পাশাপাশি কাজের মানের প্রতিও সবসময় সংবেদনশীল ছিলাম। নাটকের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে কখনও বিশ্বাসী ছিলাম না। এখন তো অনেক সময় দেখা যায় গল্প বা চরিত্রের গভীরতা কম, কাজগুলো অনেকটাই ‘কনটেন্ট ভিউ’ নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। আমি চাই, যখন কাজ করি, সেটি যেন দর্শকের মনে থাকে। তাই শুরু থেকে এখনও বেছে বেছেই কাজ করছি।
এখন নাটকে ‘ভিউ’ ও ‘ট্রেন্ড’ অনুসারে শিল্পী নির্বাচন হয় বলে অভিযোগ আছে...
এটি ঠিক যে এখন ‘ভিউ’ একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশ্ন হলো– দীর্ঘ মেয়াদে এই দর্শক আসলে কাদের মনে রাখে? আমার মনে হয়, একটি শিল্পমাধ্যমে যখন কেবল সংখ্যা দিয়ে শিল্পী বা কাজের মান বিচার হয়, তখন সেখানে অন্তর্নিহিত শিল্পবোধ অনেকটা হারিয়ে যায়। আমি বিশ্বাস করি অভিনেতা বা অভিনেত্রী হিসেবে আমাদের প্রথম দায় নিজের চরিত্রের প্রতি। ‘ভিউ’ দিয়ে নয়, শিল্পের গভীরতা দিয়ে একজন শিল্পীকে বিচার করা উচিত।
বর্তমান সময়ে ওটিটি মাধ্যমের প্রসারে নাটকের গুণগত মানে কী প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন?
ওটিটি একটা বড় প্ল্যাটফর্ম। নতুন গল্প আর নতুন নির্মাতাদের সুযোগ এনে দিয়েছে। এখানেও একটি সিন্ডিকেট তৈরি হচ্ছে। যারা আগে টিভিতে প্রভাবশালী ছিলেন, এখন তারা ওটিটিতেও আধিপত্য রাখছেন। এটি শিল্পের জন্য মোটেই ভালো নয়। প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও অনেক শিল্পী সুযোগ পাচ্ছেন না। আমি বলব, ওটিটি হোক কিংবা টিভি–প্রতিভা ও গল্পকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত, ‘চেনা মুখ’ বা ‘সেলিব্রেটি প্যাকেজ’কে নয়।
যে সিন্ডিকেটের কথা বললেন, তা কী ভাঙা যায় না?
অবশ্যই যায়। যারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন, তারাই এখন সেই দলের হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? আমি যখন নিয়মিত কাজ করেছি, সেই সময় কিন্তু সবাই যার যার যোগ্যতা দিয়ে কাজ করেছেন। এখন পরিচয়ের ভিত্তিতে হচ্ছে। ফলে ধীরে ধীরে আমাদের নাট্যাঙ্গনের শিল্পটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ওটিটির কাজে আগ্রহ অনুভব করেন?
অবশ্যই। যদি ভালো গল্প আর শক্তিশালী চরিত্র পাই, আমি ওটিটিতেও কাজ করতে চাই। অশ্লীলতা বা অহেতুক সাহসী দৃশ্যের নামে যদি গল্পের গুরুত্ব হারিয়ে যায়, তাহলে সেটি আমাকে টানে না। শিল্পমান থাকলেই আমি আগ্রহী।
বর্তমান প্রজন্মের নতুন অভিনেত্রীদের সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
নতুনদের মধ্যে অনেকেই খুব ভালো করছেন। আমি তাদের একটা কথাই বলি, নিজেকে সময় দিন, নিজেকে গড়ুন। রাতারাতি তারকা হওয়া যায়। দীর্ঘ সময় দর্শকের মনে থাকা কঠিন। টিকে থাকার জন্য শুধু সৌন্দর্য নয়, কাজের প্রতি নিষ্ঠা, অধ্যবসায় ও আত্মসমালোচনাও জরুরি।