সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের দিরাই ও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বনভূমি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফুর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আশিক মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। আজ একটি পক্ষ বিষয়টি মীমাংসা করতে আলোচনায় বসতে চাইলে অন্য পক্ষ তাতে রাজি হয়নি। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এসময় লুৎফুর পক্ষের লোকজন গুলি চালালে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন ২৫ জন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আরো পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে দুই পক্ষের গোলাগুলি, ককটেল বিস্ফোরণ

মাদারীপুরে বালু ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষে ২ ভাই নিহত

দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‍“দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এক পক্ষের ১৪ জন ও অপর পক্ষের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি।”

ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ জন গ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ