ফিল্মফেয়ারে মোশাররফ-চঞ্চলের মর্যাদার লড়াই। কে হাসবেন বিজয়ের হাসি ?
Published: 11th, March 2025 GMT
আগামী ১৮ মার্চ কলকাতায় বসছে যাচ্ছে বলিউডের শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের জন্য মর্যাদাকর পুরস্কারের আসর ফিল্মফেয়ার। ওই আসরে ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হবে সেরাদের। এতে ভারতের অন্য ইন্ডাস্ট্রির জন্যও চালু হয়েছে আলাদা পুরস্কার।
ভারতীয় বাংলা সিনেমাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য চালু হয়েছে ‘জয় ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা’। এ বছর কলকাতার চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে (টলিউড) কাজ করেন বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীরাও। সেই সূত্রে জয় ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার মনোনয়নে জায়গা করে নিয়েছেন তাঁরাও।
গত সোমবার বিকেলে প্রকাশিত মনোনয়ন তালিকায় স্থান পেয়েছেন জয়া আহসান, মোশাররফ করিম ও চঞ্চল চৌধুরী। প্রখ্যাত নির্মাতা মৃণাল সেনের বায়োপিক ‘পদাতিক’ দিয়ে টলিউডে যাত্রা শুরু হয় চঞ্চল চৌধুরীর। সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত এ সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ের সুবাদে এবারের আসরে সমালোচক বিভাগে সেরা অভিনেতা হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন চঞ্চল। এদিকে, একই বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন মোশাররফ করিম। অর্থাৎ চঞ্চল চৌধুরী ও মোশাররফ করিম দুজনের যে কেউ হাসতে পারেন বিজয়ের হাসি।
ব্রাত্য বসু পরিচালিত ‘হুব্বা’য় অভিনয়ের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন মোশাররফ। এ সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন হুব্বা শ্যামল নামের এক গ্যাংস্টারের ভূমিকায় । প্রতিবছরই ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে নন্দি অভিনেত্রী জয়া আহসানের থাকে সরব উপস্থিতি। এবারের আসরে ‘ভূতপরী’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে মনোনয়ন তালিকায় রয়েছে অপরাজিতা আঢ্য (এটা আমাদের গল্প), কৌশানী মুখার্জি (বহুরূপী), ঐন্দ্রিলা সেন (মির্জা), ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (অযোগ্য) ও শুভশ্রী গাঙ্গুলির (বাবলি) নাম।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবেশ রক্ষায় ‘বীজ বোমা’
পরিবেশ রক্ষায় অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইলের তরুণ পরিবেশকর্মী ও সংগঠক মুঈদ হাসান তড়িৎ। সামাজিক সংগঠন ‘যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন তিনি। ‘বীজ বোমা’ নামের এক বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃক্ষরোপণের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন তড়িৎ।
সাধারণত মাটি দিয়ে ছোট বলের আকারে তৈরি করা হয় ‘বীজ বোমা’। এর ভেতরে থাকে বীজ, সার ও পুষ্টিকর উপাদান। এগুলো যেকোনো উন্মুক্ত স্থানে ছুড়ে দিলেই বৃষ্টির পর তা থেকে গাছ জন্ম নিতে পারে।
মুঈদ হাসান তড়িৎ বলেছেন, “আমাদের চারপাশে অনেক অনাবাদি জমি পড়ে আছে। এই জমিগুলোতে যদি আমরা সহজ পদ্ধতিতে গাছ লাগাতে পারি, তাহলে দ্রুত সবুজায়ন সম্ভব। সে ভাবনা থেকেই এই ‘বীজ বোমা’। যুবদের জন্য ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে বীজ বোমা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।”
এ উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও পরিবেশ বিষয়ে সচেতন করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তারা একত্রিত হয়ে শহরের নানা স্থানে বীজ বোমা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে যেমন গাছ বাড়ছে, তেমনই পরিবেশ সম্পর্কে তরুণদের সচেতনতাও তৈরি হচ্ছে।
পরিবেশবিদ ও সুশীলসমাজের সদস্যরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। পরিবেশকর্মী ডা. মুজিব রহমান বলেছেন, “কম খরচে ও সহজ উপায়ে সবুজায়নের কার্যকর পদ্ধতি বীজ বোমা। যদি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ উদ্যোগে সহায়তা করে, তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।”
এছাড়া, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মাত্র ১০ টাকায় ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন তড়িৎ ও তার সংগঠন। শতাধিক মানুষ পছন্দের গাছ মাত্র ১০ টাকায় ক্রয় করেছেন এ উদ্যোগ থেকে।
তড়িতের এ উদ্যোগ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে প্রশংসা করছেন এই অভিনব চিন্তার এবং একে আরো বড় পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
পরিবেশ রক্ষায় এক পা সামনে এগিয়েছে তড়িতের ‘বীজ বোমা’। এখন সবার এগিয়ে আসার সময়।
ঢাকা/কাওছার/রফিক