আগামী ১৮ মার্চ কলকাতায় বসছে যাচ্ছে বলিউডের শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের জন্য মর্যাদাকর পুরস্কারের আসর ফিল্মফেয়ার। ওই আসরে ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হবে সেরাদের। এতে ভারতের অন্য ইন্ডাস্ট্রির জন্যও চালু হয়েছে আলাদা পুরস্কার।

ভারতীয় বাংলা সিনেমাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য চালু হয়েছে ‘জয় ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা’। এ বছর কলকাতার চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে (টলিউড) কাজ করেন বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীরাও। সেই সূত্রে জয় ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলার মনোনয়নে জায়গা করে নিয়েছেন তাঁরাও। 

গত সোমবার বিকেলে প্রকাশিত মনোনয়ন তালিকায় স্থান পেয়েছেন জয়া আহসান, মোশাররফ করিম ও চঞ্চল চৌধুরী।  প্রখ্যাত নির্মাতা মৃণাল সেনের বায়োপিক ‘পদাতিক’ দিয়ে টলিউডে যাত্রা শুরু হয় চঞ্চল চৌধুরীর। সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত এ সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ের সুবাদে এবারের আসরে সমালোচক বিভাগে সেরা অভিনেতা হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন চঞ্চল। এদিকে, একই বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন মোশাররফ করিম। অর্থাৎ চঞ্চল চৌধুরী ও মোশাররফ করিম দুজনের যে কেউ হাসতে পারেন বিজয়ের হাসি।

ব্রাত্য বসু পরিচালিত ‘হুব্বা’য় অভিনয়ের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন মোশাররফ। এ সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন হুব্বা শ্যামল নামের এক গ্যাংস্টারের ভূমিকায় । প্রতিবছরই ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে নন্দি অভিনেত্রী জয়া আহসানের থাকে সরব উপস্থিতি। এবারের আসরে ‘ভূতপরী’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে মনোনয়ন তালিকায় রয়েছে অপরাজিতা আঢ্য (এটা আমাদের গল্প), কৌশানী মুখার্জি (বহুরূপী), ঐন্দ্রিলা সেন (মির্জা), ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (অযোগ্য) ও শুভশ্রী গাঙ্গুলির (বাবলি) নাম।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম শ ররফ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

৮% জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য হয়, প্রশ্ন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো সংস্কার কমিশনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। তাদের প্রশ্ন, ঐকমত্য কমিশনে কোনো রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্ন করতে দেখা গেল না যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকলে বা তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য গঠন হয়।

‘অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ৮% জনগোষ্ঠীর অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্যে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) তরুণ রায়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের আগে হোক বা পরে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এখনো ৮ শতাংশ শুধু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জায়গা। তাদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে না কোনো রাজনৈতিক দলকে। সে ক্ষেত্রে এমন অবস্থা চলমান থাকলে ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র বয়কটের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা আক্রান্ত হতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘুরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলন থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৮ দফা দাবি তোলা হয়। সেসব দাবি বাস্তবায়নে তখন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু গত ১ বছরে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আশানুরূপ কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।

সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেছে, বিগত ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আগামী দিনের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় ৮ দফার বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮ দফা যে দেশের ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের মনের কথা জানান দিতে ২২ আগস্ট ‘জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সুস্মিতা কর বলেন, সরকারের ঐকমত্য কমিশনে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেই। দেশের একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তো ঐকমত্য গঠন হতে পারে না। গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট আছে। সংখ্যালঘুদের সব সংগঠন আট দফা দাবিতে একাত্ম। যদি নির্বাচন–পূর্ববর্তী সময়ে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে না দেখা যায়, তাহলে হয়তো সংখ্যালঘুরা ভোট বয়কট লড়তে পারে।

এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক সুব্রত বল্লভ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আদিবাসী সংগঠক সুমন ত্রিপুরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ