রংপুরের প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন ও মধ্যম পর্যায়ের চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চলমান আমলাতান্ত্রিক জটিলতার প্রতিবাদ এবং পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। 

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে নগরীর সুমি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে তারা স্বাস্থ্য খাতে বিদ্যমান অসঙ্গতি দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা ম্যাটস চিকিৎসকদের ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহারের বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানান। পাশাপাশি, রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত চিকিৎসক ব্যতীত অন্য কেউ স্বাধীনভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না মর্মে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির দাবি তোলেন।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে ‘বিনা লাভের দোকান’ চালু করেছে শিক্ষার্থীরা

পদ্মায় গোসলে নেমে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু

পাঁচ দফা দাবির মধ্যে আরো ছিল- শূন্য পদে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নিয়োগ, চিকিৎসকদের বিসিএস পরীক্ষার বয়সসীমা ৩৪ বছরে উন্নীতকরণ, চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি ও প্রশাসনিক জটিলতা দূর করা এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা.

নাফিস হাসান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- একই মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল, নাঈমসহ অন্যান্য ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ড ক ল কল জ চ ক ৎসকদ র ইন ট র ন চ ক ৎসক

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলিম নারী চিকিৎসকেরা হারিয়ে গেলেন কেন

কর্দোভার সংকীর্ণ গলিতে এক নারী দ্রুত পা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর হাতে একটি কাঠের বাক্স, ভেতরে হাতে তৈরি মলম ও ঔষধি গাছ। তিনি আল-জাহরাভির কন্যা, একজন ধাত্রী, যিনি প্রসূতি মায়েদের সেবা করছেন। তাঁর কাজ শুধু শারীরিক নিরাময় নয়, বরং একটি সম্প্রদায়ের আস্থা ও আশার প্রতীক।

মধ্যযুগের মুসলিম বিশ্বে মুসলিম নারী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এমন অগণিত গল্প রচনা করেছেন, যা চিকিৎসাবিজ্ঞান ও সমাজের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলেছে। তৃতীয় ও শেষ পর্বে আমরা তাঁদের প্রভাব, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে তুলনা এবং তাদের ঐতিহাসিক স্বীকৃতির চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করব।

চিকিৎসাবিজ্ঞানে নারীদের ছাপ

মুসলিম নারী চিকিৎসকদের কাজ মুসলিম বিশ্বের চিকিৎসাব্যবস্থাকে একটা কাঠামো দিয়েছে। রুফায়দা আল-আসলামিয়া (রা.)-এর মোবাইল হাসপাতালের ধারণা আধুনিক ফিল্ড হাসপাতালের পূর্বসূরি। তাঁর তাঁবু যা মদিনার মসজিদে নববিতে স্থাপিত হয়েছিল, স্বাস্থ্যসেবার মডেল হিসেবে কাজ করেছে।

২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারিতে মসজিদগুলো চিকিৎসা ও টিকাকরণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা রুফায়দার মসজিদভিত্তিক তাঁবুর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

এই মডেল পরবর্তী সময়ে আব্বাসীয় যুগের বিমারিস্তানে (হাসপাতাল) প্রতিফলিত হয়, যেখানে শিহাবুদ্দিন আল-সায়িগের (মৃ. ১৬২৭ খ্রি.) কন্যার মতো নারীরা নেতৃত্ব দিয়েছেন। (আল-সাঈদ, আত-তিব ওয়া রায়িদাতুহু আল-মুসলিমাত, পৃ. ১৮৯, আম্মান: দারুল ফিকর, ১৯৮৫)

নারীদের ওষুধ তৈরি ও শল্যচিকিৎসার কাজ চিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আল-জাহরাভির (৯৩৬-১০১৩ খ্রি.) গ্রন্থ আত-তাসরিফ নারী চিকিৎসকদের জন্য শিক্ষার ভিত্তি ছিল, বিশেষ করে প্রসূতি ও গাইনোকোলজিতে। এই গ্রন্থ ইউরোপে অনূদিত হয়ে রেনেসাঁসের চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রভাব ফেলেছে। ১৯০৮ সালে গ্রন্থটির আধুনিক সংস্করণ প্রকাশ পেয়েছে কায়রো ‘দারুল কুতুব’ থেকে।

আন্দালুসে উম্ম হাসান বিনত কাজি তানজালি (১৪ শতক) চিকিৎসাশিক্ষার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম তৈরি করেন, যা শিক্ষার ক্ষেত্রে নারীদের ভূমিকাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। (আবু বকর ও আল-সাদি, আন-নিসা ওয়া মিহনাত আল-তিব, পৃ. ২১২, কায়রো: দারুল কুতুব, ১৯৯৯)

এই কাজগুলো আধুনিক পাবলিক হেলথ সিস্টেমের পূর্বসূরি হিসেবে বিবেচিত হয়।

আরও পড়ুনযে নারী সাহাবির বিয়ের পরামর্শদাতা ছিলেন রাসুল (সা.)২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩নারীদের ওষুধ তৈরি ও শল্যচিকিৎসার কাজ চিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন দফা দাবিতে সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ডাক
  • উদ্ধার হলো এয়ার ইন্ডিয়ার বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ব্ল্যাক বক্স
  • মুসলিম নারী চিকিৎসকেরা হারিয়ে গেলেন কেন