গান শুনতে শুনতে মাঠে ঢুকছেন আরিনা সাবালেঙ্কা। বোঝাই যাচ্ছে, ক্যালিফোর্নিয়ায় ইন্ডিয়ান ওয়েলস ওপেন দারুণ উপভোগ করছেন মেয়েদের টেনিস র‍্যাঙ্কিংয়ের এই শীর্ষ তারকা —ইনস্টাগ্রাম
২০২৫ আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ ও ফাইনাল হবে কলকাতায়। আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাই আজ এই শহরেই এবারের ট্রফি উন্মোচন করা হলো —এক্স
কদিন পরেই পাকিস্তানের দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবেন নাসিম শাহ। এর আগে দুই ভাই হুনাইন শাহ ও উবাইদ শাহর সঙ্গে রেস্টুরেন্টে আড্ডা দিলেন তিনি। নাসিমের মতো হুনাইন ও উবাইদও পেসার। ছবিটি পোস্ট করে উবাইদ লিখেছেন, ‘শৈশবের দুষ্টুমি থেকে সারা জীবনের স্মৃতি’—ইনস্টাগ্রাম
প্রেমিকা আরাবেলা শেরবোর্নের সঙ্গে মধুর সময় কাটছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের —ইনস্টাগ্রাম
লর্ডসে আগামী জুনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচে এনহ্লুম হসপিটালিটি নামের একটি কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর থাকবেন হার্শেল গিবস। দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি আজ ছবিটি লর্ডসেই তুলেছেন — ইনস্টাগ্রাম
চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে পারেননি। তবে মাঠের বাইরে যশপ্রীত বুমরার সময়টা দারুণ কাটছে। কোনো এক অনুষ্ঠানে কালো শেরওয়ানি পরা ছবিটি পোস্ট করে ভারতের তারকা ফাস্ট বোলার লিখেছেন, ‘বিশেষ সন্ধ্যা’ —ইনস্টাগ্রাম
কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার ‘অবহেলাজনিত’ মৃত্যুর বিচার শুরু হয়েছে আজ। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসের আদালতের বাইরে ন্যায়বিচারের দাবিতে ভিড় জমান তাঁর ভক্তরা —রয়টার্স
সমুদ্রতীরে সময়টা দারুণ উপভোগ করছেন ক্রিস গেইল। এমন সময় কেউ তাঁর মুঠোফোন নিয়ে হাজির। হয়তো তিনি গেইলকে দেখাতে চাইলেন, ফোন কতগুলো বার্তা আর কল এসেছে। কিন্তু ‘ইউনিভার্স বস’ আপাতত অন্য দিকে মনোযোগ দিতে চান না। এ কারণেই লিখেছেন, ‘এক সপ্তাহের জন্য সব ধরনের কলা করা ও বার্তা পাঠানো বন্ধ রাখুন। ধন্যবাদ’ —ইনস্টাগ্রাম

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইনস ট গ র ম

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ