অবসরজীবনের প্রশান্তি খুঁজে পেলেন চাষাবাদে
Published: 12th, March 2025 GMT
ওমানে একটি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। দুই ছেলের জন্মও সেখানে। করোনার কারণে ২০২১ সালে চাকরি হারিয়ে সপরিবার বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এখন বাড়ি লাগোয়া প্লটে ফসল ফলিয়ে সুন্দরভাবে অবসরজীবন কাটাচ্ছেন খুলনার গাজী ইনসান উদ্দিন (৬৬)।
গাজী ইনসান থাকেন খুলনা নগরের প্রান্তিকা আবাসিক এলাকায়। চার কাঠা করে দুটি প্লটের একটিতে বাড়ি করে থাকেন তিনি। অন্য প্লটটিতে চাষাবাদ করছেন। ছোট ওই জায়গার মধ্যেই তিনি পরিকল্পিতভাবে পেঁয়াজ, রসুন, লাউ, শিম, কুমড়া, কচু, বিট, বেগুন, টমেটো, ঝিঙে, পুঁইশাক, লালশাক, গাজর, ধনেপাতাসহ নানা রকমের সবজি। ইট-পাথরের খটখটে শহরের বুকে তাঁর ওই একখণ্ড সবুজ খেত দৃষ্টি কাড়ে যেকোনো মানুষের।
ইনসান উদ্দিন তাঁর খেতের সবজি প্রতিবেশীদেরও দেন। এ ছাড়া কেউ তাঁর খেত দেখতে এলে ধরিয়ে দেন টমেটো, লাউ, বিট। তাঁর প্লটে ছোট ছোট বেড করে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজি। লাউ, শিম, ঝিঙের জন্য বাঁশ, কাঠ ও নেট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মাচা। টমেটো লাগানোর অংশটিও আলাদাভাবে ছোট মাচা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে খেতজুড়ে ছড়িয়ে আছে নান্দনিকতার ছোঁয়া।
অল্প জায়গার মধ্যেই গাজী ইনসান উদ্দিন পরিকল্পিতভাবে পেঁয়াজ, রসুন, লাউ, শিমসহ নানা রকমের সবজি চাষ করেছেন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি কেরানীগঞ্জে বহুতল ভবনের আগুন
ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগরে জমেলা টাওয়ারে লাগা আগুন ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট। আগুন লাগা ভবনে আটকেপড়া ৪৫ জনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস৷
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের ডাইরেক্টর (অপারেশন) তাইজুল ইসলাম। এর আগে, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ১২ তলা ওই ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে।
আরো পড়ুন:
কৃষিজমি ক্ষতির শঙ্কায় ভেকুসহ মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ
সুনামগঞ্জে আগুনে পুড়ল ৭ ঘর
তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘‘আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। পরে আরো ১০টি ইউনিট যুক্ত হয়। বর্তমানে ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে আটকে পড়া ৪৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘ভবনের ভেতরে বিপুল পরিমাণ দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে রবিবার পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনে অতিরিক্ত ইউনিট মোতায়েন করা হবে এবং আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’’
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘এখনই সূত্রপাত বলা যাবে না, আগে আগুন নিয়ন্ত্রণ করব, তারপর সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।’’
ঢাকা/শিপন/রাজীব