বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) রাশেদুল ইসলাম ৪ দিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তিনি কেনো কর্মস্থলে আসছেন না এ বিষয়ে কারো কাছে কোন তথ্য নেই। 

জুলাই অভ্যুত্থানে ঢাকার রামপুরা এলাকায় বিল্ডিংয়ের কার্নিশে ঝুলতে থাকা এক যুবককে গুলি করে পুলিশ। সে ঘটনায় রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলার আসামি বিএমপি পুলিশের এডিসি রাশেদুল ইসলাম। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে একটি আদালতে ওয়ারেন্ট হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি নিজেকে আত্মগোপন করে থাকতে পারে বলে মনে করছে বিএমপি। 

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশশ কমিশনার মো.

শফিকুল ইসলাম বলেন, “গত রোববার থেকে কর্মস্থলে আসছেন না অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) রাশেদুল ইসলাম। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে তার সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।” 

তিনি বলেন, “খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় রাশেদুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় ঢাকার একটি আদালতে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হয়। তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সকে টিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।”  

পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুর দুইটার দিকে নগরের শীতলাখোলা ট্রাফিক অফিস থেকে কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে যান এডিসি রাশেদুল ইসলাম। তারপর থেকেই তার ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। জুলাই অভ্যুত্থানের সময় তিনি ঢাকার খিলগাঁও জোনে এডিসি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছিলেন। ওই সময়ে ঢাকার রামপুরা এলাকায় বিল্ডিংয়ের কার্নিশে ঝুলতে থাকা এক ছাত্রকে গুলি করার ঘটনায় রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলার আসামি এডিসি রাশেদ। ঢাকার মামলায় গ্রেপ্তার থেকে বাঁচতে বরিশাল থেকে তিনি পালিয়ে গেছেন, এমন খবর শোনা যাচ্ছে। 

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা থেকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগদান করেন এডিসি রাশেদুল ইসলাম।

ঢাকা/পলাশ/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ দ ল ইসল ম বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নায়িকা হতে আসিনি, তবে...

গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।

এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।

‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।

ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।

আইমন শিমলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ