প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা শিবিরে যাচ্ছেন আজ
Published: 14th, March 2025 GMT
আজ শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শনে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। আশ্রয়শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করার কথা রয়েছে তাঁদের।
এর আগে দুপুরে আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা নেতা, ধর্মীয় শিক্ষক, যুব প্রতিনিধি ও নারীদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করার কথা রয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিবের। রোহিঙ্গা নেতারা জানিয়েছেন, বৈঠকে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন জোরদারের লক্ষ্যে দ্রুত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেফ জোন (বসবাসের নিরাপদ অঞ্চল) গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে দাবি জানাবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিব চার দিনের সফরে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন। আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছার পর সড়কপথে উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে যাওয়ার কথা রয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিবের। অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছে বিমানবন্দরের নবনির্মিত রানওয়ে, জলবায়ু উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনে খুরুশকুলে নির্মিতব্য বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। দুপুরে পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বিকেলে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ইফতার মাহফিলে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিবের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আশ্রয়শিবিরে আসার খবরে সাধারণ রোহিঙ্গারা খুবই উৎফুল্ল বলে জানান রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়ের। গতকাল রাতে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সঙ্গে পৃথক তিনটি বৈঠকে বসবেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এসব বৈঠকে আমরা আরকানে (রাখাইন) জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সেফ জোন করার দাবি জানাব। ইফতার মাহফিলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছেও আমরা এ বিষয়ে সহযোগিতা চাইব। সেফ জোন করা না গেলে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন কখনো সম্ভব হবে না।’
মোহাম্মদ জোবায়ের আরও বলেন, আগামী ১ এপ্রিল থেকে রোহিঙ্গাদের মাসিক খাদ্যসহায়তা সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ৬ ডলার করার ঘোষণা এসেছে। খাদ্যসহায়তা কমলে আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গাদের জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ বিষয়েও আলাপ করা হবে। তবে এর চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সেফ জোনের বিষয়টি।
জেলা পুলিশ সুপার মো.
জাতিসংঘের মহাসচিব বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আশ্রয়শিবিরে পৌঁছালে তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করবেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এরপর জাতিসংঘের মহাসচিবকে নেওয়া হবে একটি ওয়াচ টাওয়ারে। সেখানে উঠে তিনি আশ্রয়শিবিরের বর্তমান চিত্র পর্যবেক্ষণ করবেন।
দুপুরে বালুখালী ও মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১৮ ও ৪ বর্ধিত) একটি লার্নিং সেন্টার এবং ইউএনএইচসিআর ও ডব্লিউএফপির সেবা ও ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এ সময় পৃথক তিনটি বৈঠকে রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা, রোহিঙ্গা তরুণ-তরুণী, ধর্মীয় নেতাদের মনোভাবের কথা জানতে চাইবেন জাতিসংঘ মহাসচিব। বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে কুতুপালং আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-২০ বর্ধিত) রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে এ ইফতারের আয়োজন।
জানতে চাইলে আরআরআরসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, একটি প্যান্ডেলে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে ইফতারে অংশ নেবেন ১২৫ জন রোহিঙ্গা। অবশিষ্ট আরও এক লাখ রোহিঙ্গা প্যান্ডেলের বাইরে খোলা মাঠ ও পাহাড়ের উপত্যকায় বসে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে অংশ নেবেন। একজন রোহিঙ্গা মাওলানা মোনাজাত পরিচালনা করবেন। রোহিঙ্গাদের মধ্যে একজন লিখিত বক্তব্য দিতে পারেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব ২০১৮ সালে সর্বশেষ রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন এসেছিলেন। তবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এটি প্রথম সফর। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখের বেশি। এর মধ্যে ৮ লাখ এসেছে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরের কয়েক মাসে। দীর্ঘ ৮ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। উল্টো গত কয়েক মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নিয়েছেন ৬০-৭০ হাজার রোহিঙ্গা।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্কিন ব্যাংকে পর্যাপ্ত ত্বক থাকলে ৪০ শতাংশের বেশি দগ্ধ রোগীকেও বাঁচানো যায়
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে হতাহত হওয়ার ঘটনার পর দেশের একমাত্র স্কিন ব্যাংকের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এ ব্যাংকের অবস্থান। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মাইলস্টোনের ঘটনার পর অনেকেই স্কিন (চামড়া বা ত্বক) দান করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে ইনস্টিটিউটে যোগাযোগ করছেন। স্কিন ব্যাংকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্বক থাকলে ৪০ শতাংশের বেশি পুড়ে যাওয়া রোগীকেও বাঁচানো সম্ভব।
২১ জুলাই দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। গত সোমবার রাত ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৩৪ জন মারা গেছে। আর সোমবার বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৪৫ জন। তাদের মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৩৩ জন।
দেশে স্কিন ব্যাংকের যাত্রা শুরুর পর দান করা ত্বক ব্যবহার করে ১০ জন দগ্ধ রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯ জনই বেঁচে গেছেন। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকায় একজন মারা গেছেন।জীবিত ব্যক্তির শরীর থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ করা ত্বক মারাত্মকভাবে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া যে কেউ চাইলে মরণোত্তর ত্বক দান করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে দাতার মৃত্যুর পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মরদেহ থেকে ত্বক সংগ্রহ করা হয়। পরে সেই ত্বক দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
ওজন কমানোসহ কিছু প্লাস্টিক সার্জারির পর বেঁচে যাওয়া ত্বক সংরক্ষণ করার মধ্য দিয়ে দেশের একমাত্র স্কিন ব্যাংকটি যাত্রা শুরু করে। আগে এ ধরনের অস্ত্রোপচারের পর বাড়তি ত্বক ফেলে দেওয়া হতো।
স্কিন ব্যাংকের সমন্বয়কারী ও জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, মাইলস্টোনের ঘটনার পর ত্বকদানের বিষয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে; বিশেষত অনেক নারী আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষ এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে যোগাযোগ করেছেন।
তবে সমস্যা হলো, আগ্রহী ব্যক্তিদের বেশির ভাগ চাইছেন, মাইলস্টোনের ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষার্থীদের শরীরে যাতে তাঁদের দান করা ত্বক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় যে প্রক্রিয়া শেষে কার দান করা ত্বক কার শরীরে ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া ত্বক দান করার ক্ষেত্রে স্ক্রিনিংসহ পুরো প্রক্রিয়া শুনে অনেকে আর আগ্রহ দেখাননি। এখন পর্যন্ত যাঁরা যোগাযোগ করেছেন, তাঁদের মধ্যে ১৫ থেকে ১৬ জন ত্বক দান করতে চেয়েছেন বলে জানান চিকিৎসক মাহবুব হাসান।
ভবিষ্যতে দগ্ধ রোগীর চিকিৎসায় ত্বক সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। ত্বক সংগ্রহের পর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তরল নাইট্রোজেনে ডুবিয়ে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। তাহলে সেই ত্বক পাঁচ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে।মাহবুব হাসান, জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক।৩ জুলাই মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম আন্তর্জাতিক দগ্ধ ও আঘাতপ্রাপ্তদের সম্মেলন। এই সম্মেলনে ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ফার্স্ট স্কিন ব্যাংক ইন বাংলাদেশ: দ্য ওয়ে অব ওভার কামিং দ্য চ্যালেঞ্জেস’ শিরোনামের বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাহবুব হাসান। প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, দেশে স্কিন ব্যাংকের যাত্রা শুরুর পর দান করা ত্বক ব্যবহার করে ১০ জন দগ্ধ রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯ জনই বেঁচে গেছেন। আর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকায় একজন মারা গেছেন।
আপাতত রেজিস্ট্রেশন ও স্ক্রিনিংদেশের একমাত্র স্কিন ব্যাংক উদ্বোধন করা হয় গত ৯ জানুয়ারি। তবে গত ২০ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়। ব্যাংকটিতে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল। বর্তমানে এই ব্যাংকে দুজন চিকিৎসক ও একজন নার্স দায়িত্ব পালন করছেন।
স্কিন ব্যাংক যাত্রা শুরুর পর মোট ১৪ হাজার ৫০০ সেন্টিমিটার স্কয়ার ত্বক সংরক্ষণ করা হয়েছিল। মাইলস্টোনের ঘটনার আগপর্যন্ত ৯ হাজার সেন্টিমিটার স্কয়ার ত্বক ব্যাংকে ছিল। মাইলস্টোনের ঘটনায় দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় গত রোববার পর্যন্ত এ ব্যাংক থেকে সাড়ে ৩ হাজার সেন্টিমিটার স্কয়ার ত্বক ব্যবহার করা হয়েছে।
স্কিন ব্যাংক যাত্রা শুরুর পর মোট ১৪ হাজার ৫০০ সেন্টিমিটার স্কয়ার ত্বক সংরক্ষণ করা হয়েছিল। মাইলস্টোনের ঘটনার আগপর্যন্ত ৯ হাজার সেন্টিমিটার স্কয়ার ত্বক ছিল। মাইলস্টোনের ঘটনায় দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় গত রোববার পর্যন্ত এ ব্যাংক থেকে সাড়ে তিন হাজার সেন্টিমিটার স্কয়ার ত্বক ব্যবহার করা হয়েছে।মাইলস্টোনের ঘটনার পর ত্বকদানের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে। ত্বকদানের আহ্বান জানিয়ে অনেকেই পোস্ট দিচ্ছেন। তবে কিছু কিছু ভুল তথ্যও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুনস্কিন ব্যাংক চালু হলো বাংলাদেশে, দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত২৫ জুলাই ২০২৫মাইলস্টোনের ঘটনার পর জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অনেকেই ত্বক দান করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তবে স্কিন ব্যাংকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্বক সংরক্ষিত আছে।
এ বিষয়ে চিকিৎসক মাহবুব হাসান বলেন, এ মুহূর্তে ত্বকদানে আগ্রহী ব্যক্তিদের রেজিস্ট্রেশন আর স্ক্রিনিং করে রাখার বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে, যাতে জরুরি প্রয়োজনে তাঁদের কাছ থেকে ত্বক সংগ্রহ করা যায়।
সংগ্রহ করা ত্বক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তরল নাইট্রোজেনে ডুবিয়ে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখলে পাঁচ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে