কুরআনের আইন, সৎ লোকের শাসন বাস্তবায়ন জরুরী : মাও. মঈনুদ্দিন
Published: 16th, March 2025 GMT
চব্বিশের গন আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ এক বিশাল মহামারী থেকে রেহাই পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, যতদিননা পর্যন্ত কুরআনের আইন সৎ লোকের শাসন বাস্তবায়ন না হবে। ততদিন পর্যন্ত সমাজে ঝগড়া বিবাদ জুলুম নির্যাতন থেকেই থেকেই যাবে। সৎ লোকের শাসন এবং কুরআনের আইন বাস্তবায়ন হলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।
রবিবার (১৬ মার্চ) বিকালে কালিরবাজার চারারগোপ এলাকায় জামে মসজিদে নারায়ণগঞ্জ সদর পূর্ব থানা ১৩ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে রমজানের তাৎপর্য ও যাকাত শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার সরকারের কিছু এমপি মন্ত্রী পালিয়ে গেলেও তাদের সমস্ত দোসররা ঘাপটি মেরে আছে। আমাদের পাশেই যে শীতলক্ষ্যা নদী দেখছেন এই নদী দিয়ে এখন পারাপার হওয়া দূষ্কর হয়ে হয়ে পরেছে পরিবেশ দপ্তর থাকলেও নেই কোন তদারকি। তাই কুরআনের আইন সৎ লোকের শাসন বাস্তবায়ন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
উক্ত ইফতার মাহফিলে ১৩ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মো আক্তারুজ্জামনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরী কর্ম পরিষদের সদস্য সাঈদ তালুকদার, শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও সদর পূর্ব থানা আমীর হাবিবুর রহমান, জামায়াতে নেতা কামরুজামান প্রমূখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে নিয়ে রাজকুমার হিরানি নির্মাণ করেন আলোচিত সিনেমা ‘পিকে’। ২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট হয়।
এ সিনেমা মুক্তির আগে প্রকাশিত হয় আমিরের পোস্টার। সিনেমাটিতেও নগ্ন আমিরের দেখা মেলে। তারপর দারুণ আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেতা। সমালোচনাও কম সইতে হয়নি তাকে। এখানেই শেষ নয়, হিন্দু ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করার অভিযোগে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন আমির। ভাঙচুর করা হয় প্রেক্ষাগৃহ।
প্রায় এক যুগ পর এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির খান। ইন্ডিয়া টিভি চ্যানেলের ‘আপ কি আদালত’ শোয়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন আমির। তার ভাষায়— “ধর্ম নয়, ধর্মের নামে যারা প্রতারণা করে ‘পিকে’ সেসব লোকদের সমালোচনা করেছে।”
আরো পড়ুন:
জোড়া লাগল অর্জুন-মালাইকার ভাঙা প্রেম!
অন্তঃসত্ত্বা কিয়ারাকে কী উপহার দিলেন রাম চরণ?
ব্যাখ্যা করে আমির খান বলেন, “তারা ভুল। আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা সমস্ত ধর্ম ও সমস্ত ধর্মের মানুষদের শ্রদ্ধা করি। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা কামায়, তাদের বিষয়ে সচেতন করাই ‘পিকে’ সিনেমার উদ্দেশ্য ছিল। প্রতিটি ধর্মেই এমন লোক পাওয়া যায়।”
‘পিকে’ সিনেমায় পাকিস্তানি এক মুসলিম ছেলেরি প্রেমে পড়ে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের অনুসারী এক নারী (আনুশকা শর্মা)। এটাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে আমির খান বলেন, “সবসময়ই এটিকে লাভ জিহাদ বলা উচিত নয়। এটি মানবতা। মানবতা ধর্মের উর্ধ্বে।”
গত ৭-৮ বছরে দেশদ্রোহী, হিন্দুবিরোধী হওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন আমির খান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম। আমি গর্বিত আমি একজন ভারতীয়। দুটোই একসঙ্গে সত্যি হতে পারে।”
ঢাকা/শান্ত