চব্বিশের গন আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ এক বিশাল মহামারী থেকে রেহাই পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন  জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, যতদিননা পর্যন্ত কুরআনের আইন সৎ লোকের শাসন বাস্তবায়ন না হবে। ততদিন পর্যন্ত সমাজে ঝগড়া বিবাদ জুলুম নির্যাতন থেকেই থেকেই যাবে। সৎ লোকের শাসন এবং কুরআনের আইন বাস্তবায়ন হলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।

রবিবার (১৬ মার্চ) বিকালে কালিরবাজার চারারগোপ এলাকায় জামে মসজিদে নারায়ণগঞ্জ সদর পূর্ব থানা ১৩ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে রমজানের তাৎপর্য ও যাকাত শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার সরকারের কিছু এমপি মন্ত্রী পালিয়ে গেলেও তাদের সমস্ত দোসররা ঘাপটি মেরে আছে। আমাদের পাশেই যে শীতলক্ষ্যা নদী দেখছেন এই নদী দিয়ে এখন পারাপার হওয়া দূষ্কর হয়ে হয়ে পরেছে পরিবেশ দপ্তর থাকলেও নেই কোন তদারকি। তাই কুরআনের আইন সৎ লোকের শাসন বাস্তবায়ন করা জরুরী হয়ে পড়েছে। 

উক্ত ইফতার মাহফিলে ১৩ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মো আক্তারুজ্জামনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরী কর্ম পরিষদের সদস্য সাঈদ তালুকদার, শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও সদর পূর্ব থানা আমীর হাবিবুর রহমান, জামায়াতে নেতা কামরুজামান প্রমূখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ