অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ‘ছাত্র উপদেষ্টা’ মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করেছে গণঅধিকার পরিষদ। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তারা পদত্যাগ না করলে গণঅভ্যুত্থানের সকল শক্তিকে নিয়ে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন দলটির নেতারা।

আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

তিনি বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে তারা পদত্যাগ না করলে  গণঅভ্যুত্থানের সকল শক্তিকে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রয়োজনে যমুনা ঘেরাও করা হবে।

জুলাই গণঅভ্যত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালানোর দায়ে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান রাশেদ খান।  এ সময় তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াসা নিয়োগ নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে সেই নিয়োগ বাতিল করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে গণ অধিকার পরিষদের সহসভাপতি ফারুক হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের দল গঠনের মাধ্যমে ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। ফলে ছাত্রদের মধ্যে থেকে যারা উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন তাদের পদত্যাগ করতে হবে।

তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নিবার্চন দিতে হবে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন আদালতের মাধ্যমে বাতিল ঘোষণা করতে হবে। পাশাপাশি এসব নির্বাচনে যারা ‘ডামি-আমি’ এমপি হয়েছিলেন, তাদের সম্পদ জব্দ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের উচ্চ পরিষদ সদস্য দপ্তর সম্পাদক শাকিলউজ্জামান ও গণমাধ্যম সম্পাদক আবু হানিফ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদত য গ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

গলাচিপায় ১৪৪ ধারা জারি

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান। 

শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ১০টা থেকে পুরো উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারির বিষয়ে মাইকিং করা হয়েছে। এ আদেশ রবিবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। 

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গলাচিপা পৌর শহর ও আশপাশের এলাকায় সকল ধরনের সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য ও সকল প্রকার দেশীয় অস্ত্র নিষিদ্ধ থাকবে। একসঙ্গে পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির অবস্থান কিংবা চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ১০টায় গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া গ্রামে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ ওঠে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এর আগে রাত ৮টার দিকে চর বিশ্বাস বাজারে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেছেন, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে। কেউ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাগরিক সমাজ শাসকদের পক্ষে থাকে কেন?
  • ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
  • আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়
  • গলাচিপা ও দশমিনায় ১৪৪ ধারার আদেশ অব্যাহত
  • পটুয়াখালীতে বিএনপি-জিওপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, ১৪৪ ধারা জারি
  • আশীর্বাদের পরিবর্তে অভিশাপের চিঠি দিয়েছে বিএনপি: ভিপি নুর
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
  • গলাচিপায় ১৪৪ ধারা জারি