নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ওরাও হাসুক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠন প্রতিবছর ঈদ ও রমজানে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহায়তা প্রদান করে। সংগঠনের লক্ষ্য কেবল সহায়তা নয়, বরং সমাজের প্রত্যেক মানুষের জন্য ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং সমবেদনা সৃষ্টি করা। 
ওরাও হাসুক ফাউন্ডেশন তাদের বার্ষিক উদ্যোগে কেন্দুয়া উপজেলার ভূঁইয়ার বাজার এলাকায় প্রায় অর্ধশত দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মধ্যে ইফতার এবং ঈদউপহার সামগ্রী বিতরণ করে। এ উদ্যোগে তারাই উপকৃত হয়েছেন, যারা দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী কিনতে অক্ষম।
সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে ওরাও হাসুক ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা আজহারুল ইসলাম বলেন, ‌‘আমাদের এই কার্যক্রম গত কয়েক বছর ধরে পরিচালিত হচ্ছে। সংগঠনের সদস্যরাই এ কাজে অংশগ্রহণ করেন। অর্থাৎ তাদের সহায়তায় আমরা ফান্ড তৈরি করে মানুষের পাশে দাঁড়াই। এর জন্য নানান প্রতিকূলতার মুখেও পড়তে হয়েছে আমাদের। তাই বলে কখনও দমে যাইনি। এটি বলতে পারি যে, ভবিষ্যতে এ উদ্যোগ আরও বড় আকারে সম্প্রসারিত হবে এবং আরও বেশি পরিবার এ সহায়তা গ্রহণ করতে সক্ষম হবে। এর জন্য আমরা আমাদের সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’ u

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ