নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ওরাও হাসুক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠন প্রতিবছর ঈদ ও রমজানে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহায়তা প্রদান করে। সংগঠনের লক্ষ্য কেবল সহায়তা নয়, বরং সমাজের প্রত্যেক মানুষের জন্য ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং সমবেদনা সৃষ্টি করা। 
ওরাও হাসুক ফাউন্ডেশন তাদের বার্ষিক উদ্যোগে কেন্দুয়া উপজেলার ভূঁইয়ার বাজার এলাকায় প্রায় অর্ধশত দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মধ্যে ইফতার এবং ঈদউপহার সামগ্রী বিতরণ করে। এ উদ্যোগে তারাই উপকৃত হয়েছেন, যারা দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী কিনতে অক্ষম।
সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে ওরাও হাসুক ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা আজহারুল ইসলাম বলেন, ‌‘আমাদের এই কার্যক্রম গত কয়েক বছর ধরে পরিচালিত হচ্ছে। সংগঠনের সদস্যরাই এ কাজে অংশগ্রহণ করেন। অর্থাৎ তাদের সহায়তায় আমরা ফান্ড তৈরি করে মানুষের পাশে দাঁড়াই। এর জন্য নানান প্রতিকূলতার মুখেও পড়তে হয়েছে আমাদের। তাই বলে কখনও দমে যাইনি। এটি বলতে পারি যে, ভবিষ্যতে এ উদ্যোগ আরও বড় আকারে সম্প্রসারিত হবে এবং আরও বেশি পরিবার এ সহায়তা গ্রহণ করতে সক্ষম হবে। এর জন্য আমরা আমাদের সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’ u

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ