বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ চলাকালে মোহামেডানের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিকটস্থ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল অ্যান্ড নার্সিং কলেজে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলেই নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ বিষয়ে রাইজিংবিডিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘‘তামিমের বুকে ব্যথা হচ্ছিল। তাই কাছেই যে হাসপাতাল, ফজিলাতুন্নেসা, সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়, হার্টের ইসিজি করানো হয়। তখন একটু হালকা সমস্যা দেখা যাচ্ছিল। অনেক সময় দেখা যায়, প্রাথমিকভাবে তেমন বোঝা যায় না। ঘণ্টাখানেক পরে রক্ত পরীক্ষায় বোঝা যায়।’’

‘‘তবে ওর প্রথম রক্ত পরীক্ষায় একটু সমস্যা বোঝা যাচ্ছিল। তাই তামিম নিজেই বলছিল যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় চলে যাবে। ওর অস্বস্তি লাগছিল। তাই বিকেএসপির মাঠে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়। হাসপাতাল থেকে ও যখন বিকেএসপিতে যাচ্ছিল, আবার ব্যথা শুরু হয়। তাই দ্বিতীয়বার ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন দেখা যায় একটা ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের মতো হয়েছে। এখন পর্যবেক্ষণে আছে। আপাতত এটাই জানা গেছে। আমরা যাচ্ছি হাসপাতালে। পরে বোঝা যাবে।’’

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের কোচ-অধিনায়ক চূড়ান্ত হবে সোমবার

কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে মাহমুদউল্লাহর নাম প্রত্যাহার

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ম ম ইকব ল পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

১০ ও ১১ মে সিটি ব্যাংকের সব সেবা বন্ধ থাকবে

ডেটা সেন্টার স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করতে লেনদেনসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম দুই দিন বন্ধ রাখবে সিটি ব্যাংক। আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ব্যাংকটিকে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, ডেটা সেন্টার স্থানান্তর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সিটি ব্যাংককে সম্মতি দেওয়া হলো।

১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করা সিটি ব্যাংকের গ্রাহক গত বছর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখে। ২০০৭ সালে ব্যাংকটির গ্রাহক ছিল ৬৮ হাজার। ব্যাংকটির কর্মকর্তার সংখ্যা এখন ৫ হাজার ৩২১ জন। দেশের সবচেয়ে বেশি সাত লাখ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক রয়েছে সিটি ব্যাংকের। ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ডের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। আর ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। গত বছর শেষে হাজার কোটি টাকা মুনাফার মাইলফলক ছুঁয়েছে সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটি গত বছর শেষে সমন্বিত মুনাফা করেছে ১ হাজার ১৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ