এ কে এম ফজলুল হককে (মিলন) আহ্বায়ক ও চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীকে সদস্যসচিব করে ৩৫ সদস্যের গাজীপুর জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে নতুন এ কমিটি নিয়ে অনেক নেতা-কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ত্যাগী নেতা-কর্মীরা নতুন কমিটিতে স্থান পাননি।

সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক এর আগেও দীর্ঘদিন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। এই কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে রফিকুল ইসলাম ও শাহ রিয়াজুল হান্নানকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন পীরজাদা মাওলানা এস এম রুহুল আমিন, হুমায়ুন মাস্টার, মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আজিজুর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন, হেলাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, আবু তাহের মুসুল্লি, খায়রুল আহসান, হোসেন আরমান, নুরুল ইসলাম সিকদার, মোয়াজ্জেম দেওয়ান, পারভেজ আহমেদ, খালেকুজ্জামান বাবলু, জয়নাল আবেদিন রিজভী, বিল্লাল ব্যাপারী, ইব্রাহিম প্রধান, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, এম আনোয়ার হোসেন, আবদুল জলিল মণ্ডল, মেহেরুল ইসলাম বকশী, আবদুল মান্নান দেওয়ান, ফ ম মমতাজুদ্দিন, আফজাল হোসেন ব্যাপারী, আমিনুল হক, আবুল প্রধান, আজগর হোসেন খান, আবুল মনসুর মণ্ডল, রাশেদুল হক, আনোয়ার ব্যাপারী, সাখোয়াত হোসেন (সেলিম) ও বিধান কান্ত বর্মণ।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি মেয়াদোত্তীর্ণ গাজীপুর জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে তিন সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে ১০ ফেব্রুয়ারি ফজলুল হককে আহ্বায়ক, রফিকুল ইসলাম ও শাহ রিয়াজুল হান্নানকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীকে সদস্যসচিব করে গাজীপুর জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মী বলেন, জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর অনেকেই হতাশ হয়েছেন। এ কমিটিতে এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের বিগত দিনের রাজপথের আন্দোলনে কোনো দিন দেখা যায়নি। যাঁরা দীর্ঘদিন একের পর এক মামলা খেয়েছেন, জেল খেটেছেন, এমন অনেক নেতার নাম কমিটিতে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু তাঁদের নাম নেই। নতুন এ কমিটি দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনমুখী প্রচার–প্রচারণাসহ নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করে রাখা সম্ভব হবে না।

এ সম্পর্কে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) কাজী সাইয়েদুল আলম বলেন, এ কমিটি গঠনের জন্য এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি কমিটিতে সবাইকে জায়গা দেওয়া সম্ভব হয় না। ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মধ্যে যাঁরা বাদ পড়েছেন, কেন্দ্র অবশ্যই তাঁদের বিষয়ে ভালো কোনো সিদ্ধান্ত নেবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম ব এনপ র কম ট ত ক কম ট এ কম ট সদস য আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা মেডিকেল থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মহিলা ওয়ার্ড থেকে সজীব দাস পার্থ (২১) নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে হাসপাতালের দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। 

বুধবার (৩০ জুলাই) রাত দেড়টার দিকে তাকে আটক করা হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, রাতে মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি কুলসুম বেগম (৫৪) নামের এক নারী রোগীকে হুইলচেয়ার থেকে জোর করে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। এতে রোগী পড়ে যান। তা দেখে ওয়ার্ডের লোকজন ও আনসার সদস্যরা সন্দেহভাজন ব্যক্তিটিকে পালানোর চেষ্টাকালে ধরে ফেলেন। পরে তাকে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ড থেকে রোগীর স্বজন ও আনসার সদস্যরা ভুয়া চিকিৎসক সজীব দাস পার্থ এবং তার এক সহযোগী মানিক মিয়াকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন।”

তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সজীব দাস নিজেকে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার বিলবাড়ি পেড়কুড়ি গ্রামের বাসিন্দা এবং রানেশ চন্দ্র দাসের ছেলে বলে পরিচয় দেয়। দাবি করে, পাবনা মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সে।

পরিদর্শক ফারুক আরো বলেন, “তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ছেলেটির মানসিক সমস্যা রয়েছে। পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় আসছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/বুলবুল/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ