ছয় বছর আগে কলকাতায় র‌্যাঙ্কিং নিয়ে প্রশ্ন শুনতে হয়েছিল জামাল ভূঁইয়াকে। এবার শিলংয়েও একই প্রশ্ন। ২০১৯ সালের মতো উত্তরটা একই দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘সত্যি কথা বলতে কি আমরা র‌্যাঙ্কিংয়ের চিন্তা করি না। আমার কাছে র‌্যাঙ্কিং স্রেফ একটা সংখ্যা। আমার ফোকাস এই ম্যাচ জিততে হবে। কোচ বলেছেন, এই পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সেরা স্কোয়াড এটি। অনেক শক্তিশালী দল। শক্তি আরও বেড়েছে হামজা আসাতে। তার অন্তর্ভুক্তিতে আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আমাদের টার্গেট ৩ পয়েন্ট। আমি যেমন চাই, সবাই তেমন চান। আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’

শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ৩০ হাজার দর্শক গলা ফাটাবেন ভারতের নাম ধরে। জামালের কাছে দর্শক কোনো ব্যাপার না। বরং তাঁর মনোযোগ ম্যাচের দিকে, ‘আপনার ফোকাস থাকবে শুধু খেলার দিকে, দর্শকের দিকে নয়। দর্শকরা স্লোগান তুলবে, এটা স্বাভাবিক। আপনি যখন আপনার বড় ভাইয়ের বিপক্ষে খেলতে চান, তখন সব সময় জিততে চান। তাই নয়? আমরা কিন্তু তাই করতে চাই। এবার যেন অন্যরকম ম্যাচ হতে যাচ্ছে। একটু অন্যরকম। গত এক বছর কী হয়ে আসছে, তা আপনারা দেখে আসছেন (সব কিছু মিলিয়ে)। আমরা চাপ অনুভব করছি। তবে আমরা ভালো অবস্থানে আছি।’

দুই দেশের লিগে পার্থক্য থাকলেও ফুটবলারদের মধ্যে নেই বলে বিশ্বাস জামালের, ‘তাদের আইএসএল আমাদের বিপিএলের চেয়ে ভালো। আমি মনে করি না, দুই দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে বড় পার্থক্য আছে। আমাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে জিজ্ঞেস করলে দেখবেন, সবাই এক উত্তর দেবে.

.. আমরা এখানে জিততে এসেছি।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে হত্যা, ফাঁদ পেতে ধরা হলো প্রেমিককে

পাবনার চাটমোহর উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামে ক্যানসার আক্রান্ত স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। 
দশদিন পর ঘটনা জানাজানি হলে  অভিযুক্ত স্ত্রী শারমিন খাতুন ও তার প্রেমিককে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। 

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর চাটমোহরের দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত স্বামী শের আলী (৩৫) দক্ষিণপাড়া গ্রামের ভোলা প্রামানিকের ছেলে। শারমিন খাতুন (২৬) কাটেঙ্গা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে। এবং তার প্রেমিক অনিক (২২) একইগ্রামের মহাজন সরকারের ছেলে। 

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর শের আলীর মৃত্যু হয়। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর বিষয়টি স্বাভাবিক হিসেবে শুরুতে মেনে নিলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুকে ঘিরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।
জানা যায়, শের আলীর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ইউটিউবারদের মাধ্যমে চিকিৎসা সহায়তার অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, সেই অর্থের একটি বড় অংশ শারমিন অনিককে দিয়েছেন। 

মৃত শের আলীর ফুপাতো ভাই এনামুল হোমেনের দাবি, শারমিন ও অনিকের মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারে হওয়া কথোপকথন ঘেঁটে টাকা লেনদেনের একাধিক তথ্য পাওয়া গেছে। সেখান থেকেই প্রথম সন্দেহের সূত্রপাত। 

এরপর ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পরিবারের সদস্যরা কৌশল অবলম্বন করেন। শারমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে অনিককে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসতে বলে মেসেজ পাঠানো হয়। অনিক এই ফাঁদে পা দেন।  

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অনিকে টাকা নিতে এলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন বক্তব্য ও পরস্পরবিরোধী তথ্য দিলে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। পরে অনিক ও শারমিন স্বীকার করেন, প্রায় চার মাস ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। 

শারমিন এ সময় জানান, গত ৩০ নভেম্বর একসঙ্গে দশটি ঘুমের ওষুধ শের আলীকে তিনি খাইয়েছিলেন। এতে শের আলীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে এবং কিছু সময়ের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। 

শের আলীর মা শিরীনা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘‘আমার অসুস্থ ছেলেকে ওর বউ ঘুমের ওষুধ খাইয়েছে। সে সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে এসে দেখি আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’’

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘মৃত ব্যক্তির পরিবারে পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি বা মামলা করেনি। যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের পাবনা আদালতে সোপর্দ করেছে।’’ 

ঢাকা/শাহীন//

সম্পর্কিত নিবন্ধ