ঈদের কেনাকাটায় ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ১০ স্মার্টফোন
Published: 28th, March 2025 GMT
ঈদের বাকি মাত্র কয়েক দিন। ঈদের কেনাকাটায় পছন্দের পোশাকের পাশাপাশি অনেকের তালিকায় থাকে স্মার্টফোন। ব্যবহার ও প্রয়োজন ভেদে এসব স্মার্টফোনের চাহিদাও হয় ভিন্ন রকমের। ঈদে স্মার্টফোনের বাজারে ৩০ হাজারের মধ্যে ভালো মানের কয়েকটি ফোনের খোঁজ নেওয়া যাক।
ওয়ালটন জেনন এক্স ২০এই ফোনের দাম ২০ হাজার ৪৯৯ টাকা। ১২৮ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে ১৬ গিগাবাইট র্যাম রয়েছে। ৬.
৬.৬৭ ইঞ্চি পর্দার এই ফোনের দাম ২০ হাজার ৫৭৯ টাকা। ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে ৮ গিগাবাইট র্যাম রয়েছে। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত এই ফোনের পেছনে ৫০ ও ২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরার পাশাপাশি সামনে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।
আরও পড়ুনঈদের বাজারে ১৭ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন২৬ মার্চ ২০২৫স্যামসাং গ্যালাক্সি এম৩৫এই ফোনের দাম ২১ হাজার ৮০০ টাকা। ১২৮ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে ৬ গিগাবাইট র্যাম রয়েছে। পেছনে ৫০, ৮ ও ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাযুক্ত ফোনটির সামনে ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকায় সহজেই ভালো মানের সেলফি তোলা যায়। ৬.৬ ইঞ্চি পর্দার ফোনটিতে ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিও রয়েছে।
ভিভো ওয়াই ২৯১২৮ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে ৮ গিগাবাইট র্যাম রয়েছে। ৬.৬৮ ইঞ্চি পর্দার ফোনটির পেছনে ৫০ ও ২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরার পাশাপাশি সামনে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ৬ হাজার ৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত এই ফোনের দাম ২১ হাজার ৯৯৯ টাকা।
আরও পড়ুন১০ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন২৩ মার্চ ২০২৫টেকনো ক্যামন ৩০এই ফোনের দাম ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা। ৬.৭৮ ইঞ্চি পর্দার ফোনটির ধারণক্ষমতা ২৫৬ গিগাবাইট। ৮ গিগাবাইট র্যামযুক্ত ফোনটির পেছনে ৫০ ও ২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরার পাশাপাশি সামনে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি রয়েছে ফোনটিতে।
রিয়েলমি সি৭৫৬.৭২ ইঞ্চি পর্দার এই ফোনের দাম ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা। ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে ৮ গিগাবাইট র্যাম রয়েছে। ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত এই ফোনের পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার পাশাপাশি সামনে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।
অনার এক্স৭সিএই ফোনের দাম ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা। ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে ৮ গিগাবাইট র্যাম রয়েছে। পেছনে ১০৮ ও ২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাযুক্ত ফোনটির সামনে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকায় সহজেই ভালো মানের সেলফি তোলা যায়। ৬.৭৭ ইঞ্চি পর্দার ফোনটিতে ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিও রয়েছে।
অপ্পো এ৫ প্রোএই ফোনের দাম ২৩ হাজার ৯৯০ টাকা। ৬.৬৭ ইঞ্চি পর্দার ফোনটির ধারণক্ষমতা ১২৮ গিগাবাইট। ৮ গিগাবাইট র্যাম ও ৫ হাজার ৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটির পেছনে ৫০ ও ২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরার পাশাপাশি সামনে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।
ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই৪ লাইট৬.৬৭ ইঞ্চি এফএইচডিপ্লাস পর্দার এই ফোনের দাম ২৪ হাজার ৯৯৯ টাকা। ৫ হাজার ১১০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত এই ফোনের পেছনে ৫০ ও ২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরার পাশাপাশি সামনে রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে ৮ গিগাবাইট র্যাম রয়েছে।
শাওমি রেডমি নোট ১৪ প্রো৫ হাজার ৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত এই ফোনের পেছনে ২০০, ৮ ও ২ মেগাপিক্সেলের তিনটি ক্যামেরার পাশাপাশি সামনে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। এর ফলে সহজেই ভালো মানের ছবি তোলা যায়। ৬.৬৭ ইঞ্চি পর্দার ফোনটির দাম ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৫০ ও ২ ম গ প ক স ল র দ ট র এই ফ ন র দ ম র য ক ত ফ নট র হ জ র ৯৯৯ ট ক ৮ গ গ ব ইট র সহজ ই ভ ল
এছাড়াও পড়ুন:
আজও আছে পরতে পরতে সৌন্দর্য
কারুকার্যখচিত বিশাল ভবন। দেয়ালের পরতে পরতে মনোহর সৌন্দর্য। মনোরম পরিবেশে ভবনের চারপাশে দাঁড়িয়ে সুন্দরী পরীর আবক্ষ মূর্তি। ছবির মতো সাজানো ‘পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি’ এখন কালের সাক্ষী।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে টাঙ্গাইলের নাগরপুরের কলমাই নদীতীরে ১৫ একর জমিতে জমিদারবাড়িটি। ঢুকতেই চোখে পড়ে পুরোনো মন্দির। লোকমুখে প্রচলিত, শরতের দিনে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে এখানে ব্যস্ত থাকতেন ভারতবর্ষের নামকরা কারিগররা। কালের বিবর্তনে স্থানটি এখন নির্জন। নেই আগের গৌরব-আভিজাত্যের ছাপ, এমনকি প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততাও।
মন্দির ঘুরে দেখা যায়, এর কোথাও কোথাও ইট খসে পড়েছে। পুরোনো দিনের নকশা হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য। মন্দিরের পেছনে বিশাল তিনটি মহল, যা সেকালে তিন তরফ নামে পরিচিত ছিল। মহলগুলোর আলাদা কোনো নাম পাওয়া যায়নি। সবচেয়ে বড় মহলে বর্তমান পাকুটিয়া বিসিআরজি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পরিচালিত হচ্ছে।
দোতলা ভবনের নির্মাণশৈলী মুগ্ধ করবে সবাইকে। যদিও সংস্কারের অভাবে ভবনটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। পাশেই অপূর্ব লতাপাতার কারুকার্যখচিত বিশাল আরেকটি ভবন, যার মাথায় ময়ূরের মূর্তি। এ ছাড়া কিছু নারী মূর্তিরও দেখা মেলে। জমিদার আমলের টিনের চৌচালা ঘরে অস্থায়ীভাবে সরকারি তহশিল অফিস স্থানান্তর হলেও, সেটি এখন স্থায়িত্ব পেয়েছে।
লতাপতায় আচ্ছন্ন ভবনের একাংশ বর্তমানে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং আরেকাংশে একটি বেসরকারি দাতব্য সেবা সংস্থা কার্যক্রম চালাচ্ছে। ভবনটির পিলারের মাথায় এবং দেয়ালেও অসাধারণ নকশা মুগ্ধ করে।
দোতল আরেকটি মহল, যার সামনে বিশাল শান বাঁধানো সিঁড়ি। অন্য সব ভবনের সঙ্গে এটির নকশার যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ভবনটির বারান্দা ও পুরোনো কাঠের দরজা সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে কয়েক গুণ। ভবনটির মাথায় ময়ূরের সঙ্গে দুই পাশে দুই নারী মূর্তির দেখা মেলে। সিঁড়ি বেয়ে ছাদে গেলে গাছগাছালির সবুজে ঘেরা পুরো জমিদারবাড়ির সৌন্দর্য বিমোহিত করতে বাধ্য। যদিও ভবনের ভিন্ন অংশ খসে পড়ছে, হারাচ্ছে রূপ-লাবণ্য।
জমিদারবাড়ির পেছনে রয়েছে দীঘি ও দুটি পরিত্যক্ত কূপ। এ ছাড়া জমিদারবাড়ির বিশাল মাঠের এক কোণে নাটমন্দির। জানা যায়, নাগরপুরের সঙ্গে কলকাতার একটি বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে আসেন ধনাঢ্য ব্যক্তি রামকৃষ্ণ সাহা মণ্ডল। তিনিই ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে ব্রিটিশদের কাছ থেকে বিপুল অর্থের বিনিময়ে জমি কিনে জমিদারি শুরু করেন।
রামকৃষ্ণ সাহার দুই ছেলে বৃন্দাবন ও রাধাগোবিন্দ। রাধা নিঃসন্তান। তবে বৃন্দাবনের তিন ছেলে– ব্রজেন্দ্র মোহন, উপেন্দ্র মোহন ও যোগেন্দ্র মোহন দীর্ঘকাল রাজত্ব করেন। এভাবে পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি তিন ভাইয়ের তরফে বিভক্ত থাকলেও, জমিদাররা সবাই ছিলেন প্রজানন্দিত। বৃন্দাবনের মেজ ছেলে উপেন্দ্রকে কাকা রাধাগোবিন্দ দত্তক নেন। ফলে উপেন্দ্র কাকার জমিদারির পুরো সম্পত্তি লাভ করেন।
দৃষ্টিনন্দন পাকুটিয়া জমিদারবাড়িতে প্রতিনিয়ত পর্যটকের ভিড় বাড়ছে। ইতিহাসের সাক্ষী বাড়িটি সংস্কার না হওয়ায় একদিকে যেমন সৌন্দর্য হারাচ্ছে, অন্যদিকে তরুণ প্রজন্মের কাছে অজানা থেকে যাচ্ছে ইতিহাস। জমিদারবাড়িটি পুরাকীর্তি হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে নিয়ে সংস্কার ও সংরক্ষণের দাবি জোরালো হচ্ছে।