সানিয়া-শোয়েব: ‘বাই চান্স’ দেখা, প্রেম, বিয়ে নিয়ে তুলকালাম এবং ...
Published: 30th, March 2025 GMT
খেলার দুনিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের বিখ্যাত প্রেমের কথা বললে একসময় মহসিন খান-রীনা রায়ের উদাহরণ আসত। সাবেক পাকিস্তানি ওপেনিং ব্যাটসম্যান মহসিন খান অবশ্য ভারতীয় কোনো খেলোয়াড়কে নয়, বিয়ে করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী রীনা রায়কে। বছর দশেক পর ভেঙে গিয়েছিল তাঁদের সেই সংসার। এর আগে-পরে ভারত-পাকিস্তানের অনেক জুটির প্রেমের গুঞ্জন শোনা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো ছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটার ও বলিউডের নায়িকাদের নিয়ে। ইমরান খান-জিনাত আমান (মুনমুন সেন এবং রেখার নামটাও যোগ করে নিতে পারেন), ওয়াসিম আকরাম-সুস্মিতা সেন, শোয়েব আখতার-সোনালি বেন্দ্রে—সবই শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই রয়ে গেছে। তবে সব ছাপিয়ে এখন পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তানের সবচেয়ে বিখ্যাত জুটি সম্ভবত শোয়েব মালিক-সানিয়া মির্জা। সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক মালিকের সঙ্গে ভারতীয় টেনিসের গ্ল্যামার গার্ল সানিয়ার প্রেম ও বিয়ে নিয়ে হয়েছে তুমুল মাতামাতি। কীভাবে হয়েছিল দুজনের প্রেম এবং তারপর বিয়ে, তা নিয়ে সানিয়া বিস্তারিত লিখেছেন তাঁর আত্মজীবনী ‘এইস এগেইনস্ট অডস্’ বইয়ে। সেই বইয়ের ‘ফাইন্ডিং লাভ’ অধ্যায় থেকে আজ থাকছে দুজনের সেই প্রেমের গল্প। তবে পড়ার সময় এটা মনে রাখতে হবে, বইটা যখন সানিয়া লিখেছেন, তখনো শোয়েবের সঙ্গে তাঁর সুখের সংসার। যে সংসার পরে ভেঙে যাওয়ার খবর এসেছে এ বছর জানুয়ারিতে।প্রথম দেখা
কোনো এক অদ্ভুত কারণে একেবারেই ছোট্টবেলা থেকে আমার বদ্ধমূল ধারণা ছিল যে বয়স ২৩ হওয়ার আগেই আমার বিয়ে হয়ে যাবে। আমি বরাবরই কিছুটা সনাতনী চিন্তাভাবনার, আজও অনেক বিষয়ে তা-ই। ভেবেছিলাম, বিয়ের পর টেনিস খেলা ছেড়ে দেব, আর ২৭-২৮ বছর বয়সের মধ্যে আমার সন্তান হবে। জীবনটা ঠিক এমনই কল্পনা করেছিলাম। এখন আমার প্রায় সব বন্ধুই বিবাহিত এবং সন্তানের মা-বাবা। হয়তো আমার চারপাশে বেড়ে ওঠার সময় সবাই যে ধরনের জীবন দেখেছি, আমিও সেই ছকেই মনের মধ্যে একটা পরিকল্পনা তৈরি করেছিলাম। কিন্তু বড় হতে হতে আমরা বুঝতে পারি, জীবন সব সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী চলে না।
শোয়েব-সানিয়ার প্রথম দেখা হয়েছিল দিল্লির এক হোটেলে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন