মুক্তির দ্বিতীয় দিনে সুখবর এলো নিশোর সিনেমার
Published: 1st, April 2025 GMT
ঈদে মুক্তি পাওয়া ছয় সিনেমার একটি হচ্ছে ‘দাগি’। সিনেমাটির মাধ্যমে দুই বছর পর বড় পর্দায় ফিরেছেন আফরান নিশো। ঈদের দিন মুক্তির পর থেকেই ‘দাগি’ সিনেপ্লেক্সগুলোতে হাউজফুল যাচ্ছে। হলেও আছে দর্শক উপস্থিতি। যা এই অভিনেতা ও সিনেমার পুরো টিমকে আনন্দিত করছে। মুক্তির একদিন পরই নতুন খবর জানালেন সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা আলফা আইয়ের কর্ণধার শাহরিয়ার শাকিল। তিনি জানালেন.
আলফা আই থেকে আরও জানানো হয়, কেবল সিনেপ্লেক্সে গতকাল ৩৪টি শো ছিল। আজ রানিং রয়েছে ৪৪টি শো। তার মানে দশটি শো বাড়ছে। যদিও শো বাড়ানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই ফেইক বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অফিসিয়ালি জানিয়েছেন শো বেড়েছে এটাই সত্যি। কে ফেইক বললো না বললো সেটা ভাবার বিষয় না। যা সত্যি আমরা তাই জানিয়েছি।
দাগি নিশোর দ্বিতীয় সিনেমা। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন তমা মির্জা। এতে আরও অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহীন।
এদিকে আইএমডিবিতে ‘দাগি’ রিভিউ জানিয়ে একজন ভক্ত লিখেছেন, ‘দাগী’ সিনেমাটি দেখে আমি সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট। বিশেষ করে এই সিনেমায় আফরান নিশোর অভিনয় অসাধারণ ছিল। আমি বলতে চাইছি, এটা একেবারেই মূল্যবান। সবারই এই সিনেমাটি দেখা উচিত। এই সিনেমাটিতে আবেগঘন গল্প, শ্বাসরুদ্ধকর সিনেমাটোগ্রাফি এবং কিংবদন্তি আফরান নিশোর অসাধারণ অভিনয়ের সমন্বয় ঘটেছে।
আরেকজন দর্শকের কথায়, এটি একটি সিনেমার চেয়েও বেশি কিছু। আফরান নিশো এবং তমা মির্জা অভিনীত এই ছবিটি অ্যাকশন, রোমান্স এবং একটি গভীর, চিন্তা-উদ্দীপক বার্তার মিশ্রণে একটি অবিস্মরণীয় সিনেমাটিক যাত্রা প্রদান করে। নিঃসন্দেহে এটি বছরের সেরা বাংলাদেশি সিনেমা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুস্মিতা নামে এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘দাগি’ অনেকের কাছেই ভাল্লাগবে না। যেমন আমার পাশের মানুষটা এই মুভিতে কোনো গল্প খুঁজে পায়নি। কিন্তু আমি পেয়েছি। নিশোর অভিনয় অন্তত দুই জায়গায় আমাকে কাঁদতে বাধ্য করেছে। সবাই মুভিটি হলে গিয়ে দেখবেন। একবার যার গায়ে জেলের দাগ লেগে যায়। একবার যে দাগি হয়ে যায় সামাজিকভাবে সে কখনোই আর মুক্ত হতে পারে না।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ ঈদ র স ন ম আফর ন ন শ
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?