চলে গেলেন পর্দার জিম মরিসন, ‘টপ গান’ তারকা ভ্যাল কিলমার
Published: 2nd, April 2025 GMT
চলে গেলেন মার্কিন অভিনেতা ভ্যাল কিলমার। ৬৫ বছর বয়সী অভিনেতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি গলার ক্যানসারে ভুগছিলেন। ‘ব্যাটম্যান ফরএভার’ ছবিতে ব্রুস ওয়েনের চরিত্রে অভিনয়, অলিভার স্টোনের ‘দ্য ডোরস’-এ জিম মরিসনের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পান।
ভ্যাল কিলমার ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে হলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী অভিনেতা ছিলেন। ‘টপ গান’, ‘রিয়েল জিনিয়াস’, ‘টম্বস্টোন’, ‘হিট’ ও ‘দ্য সেন্ট’ ছবিতে অভিনয় তাঁকে ভক্তদের কাছে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। ভ্যাল কিলমার বিরতি ভেঙে ২০২১ সালের ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’-এ অভিনয় করেছিলেন। তবে গলার ক্যানসারের কারণে তখন তিনি কথা বলতে পারতেন না। ২০২১ সালে, তাঁর জীবনের ওপর একটি তথ্যচিত্র, ‘ভাল’ প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর ছেলে অভিনেতার কণ্ঠ দিয়েছেন।
জোয়েল শুমাখারের ১৯৯৫ সালের ‘ব্যাটম্যান ফরেভার’-এর জন্য কিলমার মাইকেল কিটনের কাছ থেকে দায়িত্ব নেন, যা সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পায়। ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার ‘দ্য আউটসাইডার্স’ ছবি প্রত্যাখ্যান করার পর কিলমার ১৯৮৪ সালের ‘টপ সিক্রেট!’ ছবিতে অভিনয় করেন। যেখানে তিনি একজন রক তারকার চরিত্রে অভিনয় করেন এবং নিজে গানও গেয়েছিলেন। ১৯৮৬ সালের সাই-ফাই কমেডি ‘রিয়েল জিনিয়াস’-এ একজন বুদ্ধিমান কলেজছাত্র হিসেবে অভিনয় করে আরও বেশি পরিচিতি পান। তবে টম ক্রুজের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী হিট ‘টপ গান’-এ অভিনয় তাঁকে বড় তারকা বানিয়ে দেয়।
কিলমারের সবচেয়ে স্মরণীয় সিনেমার একটি ১৯৯১ সালে অলিভার স্টোনের ‘দ্য ডোরস’। এ ছবিতে মরিসনের চরিত্রে অভিনয় করা। কিলমার তাঁর অডিশনের আগে মরিসনের সব গানের কথা মুখস্থ করেছিলেন এবং প্রায় এক বছর ধরে গায়কের মতো পোশাক পরে তিনি এই চরিত্রে নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছিলেন।
১৯৫৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্মগ্রহণ করেন কিলমার। ১৯৮৮ সালে অভিনেত্রী জোয়ান হোয়ালিকে বিয়ে করেন। ১৯৯৬ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে।
ভ্যাল কিলমারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন হলিউড তারকারা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: টপ গ ন
এছাড়াও পড়ুন:
৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যাভ্যাস যেমন হতে হবে
জীবনের পাঁচটি দশক পেরিয়ে আসা একজন নারীর সামনে জীবনটা দেখা দেয় এক ভিন্ন রূপে। শারীরিক পরিবর্তন তো ঘটেই, মনের জগতেও ঘটে অদলবদল। অনেকের ধারণা, এই বয়সে এসে খাবারদাবারের প্রতি তেমন গুরুত্ব না দিলেও চলে। বাস্তবতা হলো, এই বয়সে দেহের চাই আরও বেশি যত্ন, আরও বেশি মনোযোগ। সুস্থ থাকতে বিশেষ কিছু পুষ্টি উপাদান যেমন প্রয়োজন, তেমনি নির্দিষ্ট ধরনের খাবার বাদ দেওয়াও জরুরি। পরিবারের ৫০ পেরোনো নারীর সুস্থতা নিশ্চিত করতে সেসব দেখভালের দায়িত্ব নিতে হবে বাকিদেরও।
এই বয়সে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির ঝুঁকিতে থাকেন একজন নারী। ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় ক্ষয়ে যায়, ভেঙে যায় সহজেই। পড়ে গেলে তো ভাঙেই, জোরে টান লাগলেও হাড় ভেঙে যেতে পারে কারও কারও। টাঙ্গাইলের সরকারি কুমুদিনী কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান শম্পা শারমিন খান বলেন, ‘৫০ পেরোনোর পর একজন নারীর ক্যালসিয়ামের চাহিদা বাড়ে। হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি এড়াতে এই বয়সেও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে রোজ। পরিবারের খুদে সদস্যটির জন্য যেমন, তেমনি বয়োজ্যেষ্ঠ নারীর জন্যও রোজ এক গ্লাস দুধ বরাদ্দ রাখতে হবে। এই ক্যালসিয়ামকে পুরোপুরিভাবে দেহের কাজে লাগাতে প্রয়োজন ভিটামিন ডি। সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে।’
ক্যালসিয়ামের বিকল্প নেই
এক গ্লাস দুধ কিংবা তা দিয়ে তৈরি খাবার খেতে পারেন রোজ। দই বা লাচ্ছি খেতে পারেন। কাঁটাসহ ছোট মাছ খেতে পারলে তা থেকেও ক্যালসিয়াম মিলবে। গাঢ় সবুজ রঙের শাকসবজি, যেমন পালংশাক, ব্রকলি ও কাঠবাদামেও পাবেন কিছুটা ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়ামের উপকার পেতে অবশ্যই ভিটামিন ডি চাই। এর জন্য রোজ রোদে সময় কাটানোর অভ্যাস করুন। দেহের বেশ খানিকটা অংশে প্রতিদিন রোদ লাগান, অন্তত ২০ মিনিট ধরে।
রোজ দুধ খেলে শরীর ভালো থাকবে