নরসিংদীর পলাশে চোর সন্দেহে গণপিটুনির প্রতিবাদ করায় দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে নিহত রাকিব ও সাকিবের মা রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে পলাশ থানায় মামলা করেন।

মামলায় ভাগদী গ্রামের পাভেলকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে নিহত দুই ভাইয়ের মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে জানাজা শেষে মঙ্গলবার রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

দুই ভাই হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ভাগদী ও করতেতৈল গ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলে জানান ওসি মনির হোসেন।

তিনি বলেন, “ঈদের দিন সোমবার সকালে চোর সন্দেহে হিমেল নামের একজনকে গণপিটুনির প্রতিবাদের জেরে সোমবার সন্ধ্যায় রাকিব ও সাকিব নামের দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করে ভাগদী গ্রামের কিছু লোক। বাঁচাতে গেলে আহত করা হয় তাদের মা-বাবাকেও। এ ঘটনায় পুলিশ ভাগদী এলাকার পাভেল, খবির ও উসমান নামের ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।” 

ঢাকা/হৃদয়/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের