গোপালগঞ্জে মাহেন্দ্র-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
Published: 2nd, April 2025 GMT
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মাহেন্দ্র-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে এক কিশোরসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৭ জন।
বুধবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় টুঙ্গিপাড়া-বাঁশবাড়ীয়া সড়কের ড. এমদাদুল হক মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোরশেদ আলম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের পাড় ঝনঝনিয়া গ্রামের মাহফুজুর মাতুব্বর ছেলে মারুফ হোসেন মাতুব্বর (১৮) ও একই গ্রামের কামাল শেখের ছেলে মোহাননেত শেখ (১৬)।
টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোরশেদ আলম জানান, মোটরসাইকেলে করে মারুফ হোসেন মাতুব্বর (১৮) তার এক বন্ধুকে নিয়ে পাড় ঝনঝনিয়া থেকে পাটগাতি বাজারের দিকে যাচ্ছিল। এসময় বিপরীতমুখি পাটগাতি বাজার থেকে ছেড়ে আসা বাঁশবাড়িয়াগামী একটি যাত্রীবাহী মাহেন্দ্রর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।
দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল ও মাহেন্দ্রটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল ও মাহেন্দ্রতে থাকা ৯ জন আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহেন্দ্র যাত্রী মোহাননেত শেখ (১৬) মারা যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে মারুফ হোসেন মাতুব্বরকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।
ঢাকা/বাদল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে হত্যা, ফাঁদ পেতে ধরা হলো প্রেমিককে
পাবনার চাটমোহর উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামে ক্যানসার আক্রান্ত স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
দশদিন পর ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত স্ত্রী শারমিন খাতুন ও তার প্রেমিককে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর চাটমোহরের দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত স্বামী শের আলী (৩৫) দক্ষিণপাড়া গ্রামের ভোলা প্রামানিকের ছেলে। শারমিন খাতুন (২৬) কাটেঙ্গা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে। এবং তার প্রেমিক অনিক (২২) একইগ্রামের মহাজন সরকারের ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর শের আলীর মৃত্যু হয়। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর বিষয়টি স্বাভাবিক হিসেবে শুরুতে মেনে নিলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুকে ঘিরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।
জানা যায়, শের আলীর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ইউটিউবারদের মাধ্যমে চিকিৎসা সহায়তার অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, সেই অর্থের একটি বড় অংশ শারমিন অনিককে দিয়েছেন।
মৃত শের আলীর ফুপাতো ভাই এনামুল হোমেনের দাবি, শারমিন ও অনিকের মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারে হওয়া কথোপকথন ঘেঁটে টাকা লেনদেনের একাধিক তথ্য পাওয়া গেছে। সেখান থেকেই প্রথম সন্দেহের সূত্রপাত।
এরপর ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পরিবারের সদস্যরা কৌশল অবলম্বন করেন। শারমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে অনিককে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসতে বলে মেসেজ পাঠানো হয়। অনিক এই ফাঁদে পা দেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অনিকে টাকা নিতে এলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন বক্তব্য ও পরস্পরবিরোধী তথ্য দিলে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। পরে অনিক ও শারমিন স্বীকার করেন, প্রায় চার মাস ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
শারমিন এ সময় জানান, গত ৩০ নভেম্বর একসঙ্গে দশটি ঘুমের ওষুধ শের আলীকে তিনি খাইয়েছিলেন। এতে শের আলীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে এবং কিছু সময়ের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
শের আলীর মা শিরীনা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘‘আমার অসুস্থ ছেলেকে ওর বউ ঘুমের ওষুধ খাইয়েছে। সে সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে এসে দেখি আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’’
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘মৃত ব্যক্তির পরিবারে পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি বা মামলা করেনি। যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের পাবনা আদালতে সোপর্দ করেছে।’’
ঢাকা/শাহীন//