ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে ভারতে ব্যাপক বিক্ষোভ
Published: 4th, April 2025 GMT
ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর কলকাতা, চেন্নাই এবং আহমেদাবাদের রাস্তায় হাজার হাজার মুসলিম বিক্ষোভ করেছে।
কলকাতায় বিশাল জনতা জাতীয় পতাকা উড়িয়ে এবং ‘আমরা ওয়াকফ সংশোধনী প্রত্যাখ্যান করি’ ও ‘ওয়াকফ বিল প্রত্যাখ্যান করি’ লেখা পোস্টার বহন করে জনসভাস্থলে জড়ো হয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বেশিরভাগ বিক্ষোভই জয়েন্ট ফোরাম ফর ওয়াকফ প্রোটেকশন নামের একটি সংগঠন আয়োজন করেছিল।
আহমেদাবাদের রাস্তায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ ছিল। পুলিশ রাস্তায় বসে থাকা বয়স্ক বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। চেন্নাইতেও একইরকম দৃশ্য দেখা গেছে। অভিনেতা বিজয়ের দল তামিলাগা ভেত্রি কাজগম রাজ্যব্যাপী প্রতিবাদের ঘোষণা দিয়েছে। টিভিকে কর্মীরা চেন্নাই এবং কোয়েম্বাটুর এবং তিরুচিরাপল্লীর মতো প্রধান শহরগুলোতে জড়ো হয়ে ‘ওয়াকফ বিল প্রত্যাখ্যান করুন’ এবং ‘মুসলমানদের অধিকার কেড়ে নেবেন না’ এর মতো স্লোগান তোলেন।
তামিল অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ বিজয় ওয়াকফ বিলকে ‘গণতন্ত্রবিরোধী’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, এটি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, তিনি রাজ্যের মুসলমানদের তাদের জমি হারাতে দেবেন না।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।