মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
Published: 5th, April 2025 GMT
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাংনী শহরের থানা সড়কের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে গাংনী থানার পুলিশ। এম এ খালেক গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। গত ৫ আগস্টের পর তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত হন।
গাংনী থানার পুলিশ জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারবিরোধী প্রচার, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগের নেতা-কর্মীদের জড়ো করে মেহেরপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্টের পরিকল্পনা করছিলেন এম এ খালেক। এ অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে করা একটি মামলার প্রধান আসামি ছিলেন এম এ খালেক। ওই মামলায় গত ২৪ অক্টোবর র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি এলাকায় ছিলেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল বলেন, এম এ খালেক ও তাঁর নেতা–কর্মীরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ব্যাপক মিথ্যাচার ও গুজব ছড়িয়ে এলাকায় ত্রাস তৈরি করতে কাজ করছিলেন। সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সরকারবিরোধী জনমত তৈরির চেষ্টা করছিলেন তিনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এম এ খ ল ক
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।