স্বামীকে পরকীয়া থেকে ফেরাতে না পেরে হত্যা, স্ত্রী আটক
Published: 5th, April 2025 GMT
টাঙ্গাইলের সখীপুরে পরকীয়া সম্পর্ক থেকে ফেরাতে না পেরে স্বামী জুয়েল রানাকে (৩৮) স্ত্রী তানিয়া আক্তার হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার কালিয়ানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জুয়েল রানা ওই গ্রামের মজনু শিকদারের ছেলে।
এ ঘটনায় জুয়েলের বাবা বাদী হয়ে সখিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
আরো পড়ুন:
ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, ইউপি সদস্যের বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
গণহত্যা মামলা: হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্তের খসড়া রিপোর্ট প্রসিকিউশনে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে জুয়েলের সঙ্গে তানিয়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তিন সন্তানও রয়েছে। সবকিছু ভালোই চলছিল। কিন্তু, সম্প্রতি জুয়েলের সঙ্গে অন্য এক নারীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি জানার পরে তানিয়া কয়েকবার জুয়েল এবং ওই নারীকে বুঝান। কিন্তু, কোনো কাজ হয়নি। বরং তানিয়াকেই উল্টো মারধর করতেন জুয়েল। এ ঘটনার জেরে শনিবার রাতে কাঠের টুকরো দিয়ে আঘাত করে জুয়েলকে হত্যা করেন তানিয়া। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে।
সখীপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, ‘‘নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তানিয়া। এর সঙ্গে আরো কোনো বিষয় আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।’’
ঢাকা/কাওছার/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য পরক য় এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে হত্যা, ফাঁদ পেতে ধরা হলো প্রেমিককে
পাবনার চাটমোহর উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামে ক্যানসার আক্রান্ত স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
দশদিন পর ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত স্ত্রী শারমিন খাতুন ও তার প্রেমিককে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর চাটমোহরের দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত স্বামী শের আলী (৩৫) দক্ষিণপাড়া গ্রামের ভোলা প্রামানিকের ছেলে। শারমিন খাতুন (২৬) কাটেঙ্গা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে। এবং তার প্রেমিক অনিক (২২) একইগ্রামের মহাজন সরকারের ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর শের আলীর মৃত্যু হয়। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর বিষয়টি স্বাভাবিক হিসেবে শুরুতে মেনে নিলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুকে ঘিরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।
জানা যায়, শের আলীর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ইউটিউবারদের মাধ্যমে চিকিৎসা সহায়তার অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, সেই অর্থের একটি বড় অংশ শারমিন অনিককে দিয়েছেন।
মৃত শের আলীর ফুপাতো ভাই এনামুল হোমেনের দাবি, শারমিন ও অনিকের মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারে হওয়া কথোপকথন ঘেঁটে টাকা লেনদেনের একাধিক তথ্য পাওয়া গেছে। সেখান থেকেই প্রথম সন্দেহের সূত্রপাত।
এরপর ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পরিবারের সদস্যরা কৌশল অবলম্বন করেন। শারমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে অনিককে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসতে বলে মেসেজ পাঠানো হয়। অনিক এই ফাঁদে পা দেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অনিকে টাকা নিতে এলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন বক্তব্য ও পরস্পরবিরোধী তথ্য দিলে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। পরে অনিক ও শারমিন স্বীকার করেন, প্রায় চার মাস ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
শারমিন এ সময় জানান, গত ৩০ নভেম্বর একসঙ্গে দশটি ঘুমের ওষুধ শের আলীকে তিনি খাইয়েছিলেন। এতে শের আলীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে এবং কিছু সময়ের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
শের আলীর মা শিরীনা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘‘আমার অসুস্থ ছেলেকে ওর বউ ঘুমের ওষুধ খাইয়েছে। সে সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে এসে দেখি আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’’
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘মৃত ব্যক্তির পরিবারে পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি বা মামলা করেনি। যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের পাবনা আদালতে সোপর্দ করেছে।’’
ঢাকা/শাহীন//